ওয়েব ডেস্ক :

বুধবার মধ্যরাতে প্রেস ক্লাবের সামনে পুলিশি হানার পরেও অনশন ভাঙল না। পুলিশের তরফ থেকে সময় দেওয়া হয়েছিল বৃহস্পতিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত। কিন্তু অনশনকারীদের তরফে পাল্টা সময় চাওয়া হয়। পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়, আগে বিকাশভবন গিয়ে প্রতিনিধি দল কথা বলবে, তারপর যা সিদ্ধান্ত নেওয়ার নেওয়া হবে। বৃহস্পতিবার সকালে এক অনশনকারী বলেন, “আমাদের বেলা বারোটায় বিকাশ ভবনে সময় দেওয়া হয়েছে। সাড়ে এগারোটার মধ্যে আমরা পৌঁছব। কী কথা হয়, তার ভিত্তিতে বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলন করে পরবর্তী পদক্ষেপ জানানো হবে।”
বিভিন্ন সংগঠন সোশ্যাল মিডিয়ায় ভোরে জমায়েতের ডাক দেয়। কিন্তু অনশনকারীদের তরফে থেকে বলা হয়, সংগঠিত জমায়েত না করতে। বিক্ষিপ্ত ভাবে কেউ কেউ গেলেও তাই বৃহস্পতিবার বড় কোনও জমায়েত হয়নি।
২৯ দিনে পড়ল এসএসসি চাকরিপ্রার্থীদের অনশন। গতকাল সেখানে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। নির্বাচনী আদর্শ আচরণবিধি থাকায় কোনও প্রতিশ্রুতি না দিলেও সহানুভূতির সঙ্গে ব্যাপারটি দেখা হবে বলে অনশনকারীদের জানান তিনি। আশ্বাস দেন, ভোট মিটলে জুন মাসের প্রথম সপ্তাহের মধ্যেই কিছু একটা ব্যবস্থা হবে।
গত রাতে অনশন মঞ্চে পৌঁছেছিলেন ডিসি সাউথ মীরাজ খালিদ। সঙ্গে বিরাট বাহিনী। অভিযোগ, পুলিশের তরফে অনশন তুলতে হুমকি দেওয়া হয়। না হলে ব্যবস্থা হবে বলেও জানানো হয় লালবাজারের তরফে। কিন্তু পিছু হটেননি অনশনকারীরা। পুলিশকে জানিয়ে দেওয়া হয়, বিকাশ ভবনে আলোচনার পরই পরবর্তী সিদ্ধান্ত। সকালে সেখানে তেমন পুলিশের উপস্থিতি চোখে পড়েনি। এখন সবার নজর বেলা বারোটার বিকাশ ভবনের বৈঠকের দিকেই।