‘তৃণমূল এখন একটা মৃতদেহ। আর সেই মৃতদেহের ওপর জল দিতেই বিহার থেকে প্রশান্ত কিশোরকে আনা হয়েছে’ পশ্চিম মেদিনীপুরের এক প্রতিবাদ সভা থেকে তৃণমূলকে কার্যত এভাষাতেই কটাক্ষ করলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। তৃণমূলকে কার্যত একহাত নিয়ে এদিন তিনি বলেন, ‘হরিবোল হরিবোল, তৃণমূলকে খাটে তোল।’
বরাবরই তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণত্মক সুরে কথা বলেন সায়ন্তন বসু। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। এদিনের প্রতিবাদ সভা থেকে তৃণমূলের পাশাপাশি প্রশাসনকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। তিনি বলেন, ‘তৃণমূলকে খাটে তোলে পুলিশের একটা থানার ওসি, এসপি, এসডিপিও ও অ্যাডিশনাল এসপি। আর পেছন পেছন শ্মশান যাত্রী হিসেবে যাবে সিভিক ভলেন্টিয়ার।’
এদিন ‘দিদিকে বলো’ প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, ‘আমি বিজেপি কর্মীদের বলছি দিদিকে ফোন করে বলো, যে আমাদের ঘরে তৃণমূল আগুন লাগিয়ে দিয়েছে, এর দায় কে নেবে?’
উল্লেখ্য, রবিবার রাতে পশ্চিম মেদিনীপুরের গড়বেতার ধাদিকা বাজারে বিজেপির উত্তর মণ্ডল সভাপতি বাপি ডগ্রীকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এরপরেই পুলিশি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে গড়বেতায় প্রতিবাদ মিছিল করেন জেলা বিজেপি নেতৃত্ব।