মধুকল্পিতা চৌধুরী :
‘‘কালীঘাটের ১১টা বাড়িতে তল্লাশি চালালেই রাজীব কুমারকে খুঁজে পাওয়া যাবে’’ নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এমনই বললেন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তীদেব সেনগুপ্ত। এদিন রাজীব কুমার প্রসঙ্গে তিনি আরও বলেন, ‘‘রাজীব কুমার নিজেই প্রমাণ করে দিয়েছেন তিনি অপরাধী।’’ যদি অপরাধী না হন তাহলে কেন সিবিআইয়ের কাছে কেন হাজিরা দিচ্ছেন না, বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এমনকি রাজীব কুমার চোরের মতো লুকিয়ে বেরিয়ে এটাই প্রমাণ করছেন যে তিনি সারদার তথ্য প্রমাণ লোপাট করেছেন।
এপ্রসঙ্গে এদিন বিশিষ্ট সাংবাদিক সুজিত রায় বলেন, ‘‘ইনি একটা অত্যন্ত জঘন্য অপরাধ করেছেন। লক্ষ লক্ষ মানুষের চিটফান্ডে রক্ষিত টাকা সরাতে উনি সাহায্য করেছেন।’’
উল্লেখ্য, এদিন এনআরসি প্রসঙ্গেও ক্যাম্পেন কলিং মিডিয়ার মুখোমুখি হন বিশিষ্ট সাংবাদিক সুজিত রায় ও হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তীদেব সেনগুপ্ত। এনআরসি নিয়ে তৃণমূল-বিজেপি-সিপিএম-এর তরজা যে লেগেই রয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। একদিকে যখন বিজেপি নেতারা বলে চলেছেন এরাজ্যে এনআরসি চালু হবেই, ঠিক তখনই উল্টোদিকে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীরা সূর চড়িয়ে বলে যাচ্ছেন, রাজ্যে এনআরসি হতে দেবেন না।
তবে, এরাজ্যে এনআরসি আতঙ্ক দিনে দিনে বেড়েই চলেসছে। এনআরসি সম্পর্কে এখনও সরোগর নয় রাজ্যের মানুষ। এপ্রসঙ্গে এদিন হাওড়া লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী রন্তীদেব সেনগুপ্ত বলেন, ‘‘এনআরসি বিষয়টা হচ্ছে নাগরিকপঞ্জীকরণ।অবৈধ অনুপ্রবেশকারী যারা রয়েছেন এদেশে তাঁদের চিহ্নিত করা। এটা দেশের সামাজিক ও অর্থনীতির ক্ষেত্রে খুবই জরুরি।’’
এক্ষেত্রে একটা বিষয় বলে রাখা দরকার, অসমে এনআরসি চালু হওয়ার পর থেকেই এরাজ্যের মানুষের মধ্যেও আতঙ্কের সৃষ্টি হয়েছে। এপ্রসঙ্গে এদিন রন্তীদেব বাবু বলেন, ‘‘অসমে যেভাবে এনআরসি হয়েছে সেভাবে বাংলায় হবে না।’’
এবিষয়ে বিশিষ্ট সাংবাদিক সুজিত রায় বলেন, ‘‘স্বাধীনতার পর থেকে আমাদের রাজ্যে সংখ্যালঘুর সংখ্যা বেড়েই চলেছে। এই যে জনসংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে সেটা একটা ভয়ঙ্কর ব্যাপার।’’
তবে, এনআরসি নিয়ে সমস্ত রাজনৈতিক দল গুলিই যে এখন রাজনীতির ময়দানে নেমে পড়েছেন তা আর বলার অপেক্ষা নেই। মারাত্মক একটা রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি থেকেই বিভ্রান্তি ছড়ানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করেন সুজিত রায়। এপ্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘‘অসমে না কি বাঙালি তাড়ানো হচ্ছে। এই যে বাঙালি এই শব্দটা বলে বাঙলায় আরও বেশি করে ভয় দেখানো হচ্ছে।’’