নানুরে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতর গিয়ে পুলিশ ও মমতার বিরুদ্ধে একগুচ্ছ অভিযোগ করলেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। নিহত বিজেপি কর্মী স্বরূপ ঘরোইয়ের পরিবারের লোকেদের সঙ্গে দেখা করে তিনি বলেন, “শহীদ পরিবারের লোকজনদের দেখতে দেখতে আমার চোখের জল শুকিয়ে যাচ্ছে। সারা বাংলায় শ্মশান আর কবরস্থান দেখতে দেখতে চোখের জল শুকাচ্ছে।”
এদিন মুকুল রায় স্বরূপ ঘরোইয়ের দেহ নিয়ে নাটকের প্রসঙ্গও টেনে আনেন। এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এদিন নিহতের পরিবারের পাশে দাঁড়িয়ের তাঁর দাবি, “বীরভূম জেলায় গত এক বছরে তৃণমূলের আক্রমণের ফলে মৃত্যু হয়েছে নয়জন বিজেপি কর্মীর।”
বরাবরই তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দিয়েছেন তিনি। এদিনও তার ব্যতিক্রম হলো না। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, “বীরভূম পুড়ছে বাংলা পুড়ছে আর উনি ছবি আঁকছেন, গান গাইছেন।”
এনআরসি প্রসঙ্গে তৃণমূল-বিজেপি তরজা লেগেই রয়েছে। একদিকে যখন বিজেপি নেতাদের দাবি এনআরসি চালু হবেই, ঠিক তখনই তৃণমূল সুপ্রিমোর হুঙ্কার, “বেঁচে থাকতে এনআরসি হতে দেব না”
এদিন এনআরসি প্রসঙ্গে মুকুল।রায় বলেন, “অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী বাংলা এর আগে কখনো দেখেনি। আমরা প্রফুল্ল সেন, বিধান রায়, জ্যোতি বসুকে মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে দেখেছি। কাউকে বলতে শুনিনি যে লন্ডনে সেলিকিডস বাইরান এবং রবীন্দ্রনাথের মিটিং হয়েছিল”
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। মমতার বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে তিনি বলেন, “আমরা কোনদিনও শুনিনি রামমোহন রায় এই বিধানসভার সদস্য ছিলেন, আমরা কোনদিনও শুনিনি যে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ফলের রস খাইয়ে গান্ধীজিকে অনশন ভাঙিয়ে ছিলেন। সুতরাং অশিক্ষিত মুখ্যমন্ত্রী এটা বাংলার জন্য অত্যন্ত কলঙ্ক এবং লজ্জাজনক অধ্যায়।”
এখানেই শেষ নয়। এদিন রাজীব কুমার প্রসঙ্গেও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বিঁধলেন তিনি। তাঁর মতে, “রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী কে ? মমতা ব্যানার্জি। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে মমতা ব্যানার্জি। সরকারি কাজে বাধা দিলে বিভিন্ন লোকের মামলা হয়, সিবিআই সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে তদন্ত করছে।”
এমনকি যেভাবে সিবিআই আধিকারিকদের গলাধাক্কা দিয়ে তুলে নেওয়া হয় তাতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মামলা হবে না কেন? এবিষয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সবশেষে তিনি ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচন প্রসঙ্গে বলেন, ৩০টার বেশি আসন পাবে না তৃণমূল কংগ্রেস।
উল্লেখ্য, এদিন নানুরে নিহত বিজেপি কর্মীর বাড়িতে গিয়ে পরিবারের লোকেদের হাতে আর্থিক সাহায্য তুলে দেন তিনি। পাশাপাশি মৃতের পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেন বিজেপি নেতা মুকুল রায়। অপরদিকে নিহতের পরিবারের তরফে পুরো ঘটনার সিবিআই তদন্তের দাবি করা করা হয়।