নিজস্ব সংবাদদাতা: করোনার তৃতীয় ঢেউ আক্রমণ করতে পারে শিশুদের। সেই কারণেই শিশুদের সুরক্ষা এবং চিকিৎসা স্বার্থে দিনহাটায় তৈরি হচ্ছে একটি অত্যাধুনিক শিশুদের স্বাস্থ্যসুরক্ষা কেন্দ্র। শিশু মঙ্গল সমিতির নামে সংস্থা তৈরি করে মানুষের কাছ থেকে অর্থ সাহায্য নিয়ে তৈরি হচ্ছে এই প্রকল্প। সোমবার এই নিয়ে শিশু মঙ্গল সমিতির উদ্যোক্তা ও কর্ণধার উদয়ন গুহ কে তোপ দাগলেন মিহির গোস্বামী। তিনি কটাক্ষ করে বলেন, “এই সমিতির কোন সরকারি নথি ভূক্তিকরণঃ নেই। তাহলে এই সমিতির নামে লক্ষ লক্ষ টাকা কি করে তোলা হচ্ছে। মানুষের অর্থে নিজের স্বার্থসিদ্ধির চেষ্টা করছেন উদয়ন বাবু”। পাশাপাশি তার এই কথা কে কটাক্ষ করে উদয়ন গুহ বলেন, “যারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন তাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। উনি তো কোনো সহযোগিতা করছেন না তাহলে ওনার মাথা ব্যথা কেন”।
সোমবার নিজের বাসভবনে এক সাংবাদিক বৈঠকে এই কথা বলেন মিহির বাবু। তিনি আরো বলেন, এই সমিতির সভাপতি পদে রয়েছেন সরকারি হাসপাতালে সুপারিনটেনডেন্ট, কোন সরকারই পদস্থ আধিকারিক এইভাবে কোন সংস্থার উপর তলায় যথাযোগ্য অনুমোদন ছাড়া যুক্ত হতে পারেন কিনা তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন, তাদের কাছে অভিযোগ জমা পড়েছে দিনহাটায় শিক্ষক শিক্ষা কর্মী ও সরকারি দপ্তর গুলিতে যারা কাজ করছেন তাদের কাছ থেকে জোর করে ১ হাজার ২ হাজার করে টাকা তোলা হচ্ছে। তিনি দাবি করে বলেন এমনটাও প্রমাণ রয়েছে যে শিক্ষকদের কাছে নোটিশ জারি করে দুই হাজার টাকা করে তহবিলে জমা দিতে বলা হয়েছে। আইন কি এটার স্বীকৃতি দেয়, প্রশ্ন রয়েছে।
মিহির বাবু কটাক্ষ করে বলেন, সরকারি হাসপাতালে শিশু কেয়ার ইউনিট তৈরীর জন্য চাঁদা তোলা হচ্ছে, তাহলে স্বাস্থ্য পরিকাঠামো বাড়ানোর জন্য সরকার কি এতটাই অপারগ। সর্বোপরি মানুষের কাছ থেকে এই বিপুল পরিমাণ অর্থের আয়-ব্যয়ের হিসেব কি কোনদিন মানুষের কাছে ধরা পড়বে, এই প্রশ্ন রয়েছে তার।
উদয়ন গুহ কটাক্ষ করে বলেন, মিহির গোস্বামী সুইচ অফ বিধায়ক। বিগত দিনে মানুষ তাকে কখনো তার পাশে পায় নি। মানুষের কাজে তিনি কখনোই মানুষের পাশে দাঁড়ান নি। বিরোধিতা করার জন্য বিরোধিতা করা ঠিক নয়। যে টাকা চাঁদা হিসেবে তোলা হচ্ছে তা ব্যাংক একাউন্টে জমা পড়ছে এবং সেখান থেকে খরচ হচ্ছে। যে কেউ চাইলে জমা খরচের হিসাব দেখতে পারেন।