২১শে জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ‘কাটমানি’এর বদলা হিসেবে ‘ব্ল্যাকমানি’ ফেরতের কথা বলেন। কাটমানি ফেরতের কথা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেদিন থেকে বলেছেন ঠিক সেদিন থেকেই পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন সাধারণ মানুষ। তৃণমূলের একাধিক নেতার বিরুদ্ধে কাটমানি নেওয়ার অভিযোগ তুলছেন তাঁরা।
রাজনৈতিক মহলের একাংশের মত, প্রশান্ত কিশোরের মস্তিকপ্রসূতই নাকি এই ‘কাটমানি’ ফেরতের কথা। ২০২১এর বিধানসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই নাকি আপাতত এগোচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। তাই দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতেই এই ঘোষণা করেছেন তিনি।
এবিষয়ে প্রাক্তন সাংসদ মহম্মদ সেলিম বলেন, ‘রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর মাথার খুলিতে কি কিছুই নেই যে ওনাকে লোক ভাড়া করে আনতে হবে?’ প্রশান্ত কিশোর ও কাটমানির প্রসঙ্গ মিলিয়ে এদিন প্রাক্তন সাংসদ বলেন, ‘কাটমানির টাকা দিয়ে প্রশান্ত কিশোরকে আনা। প্রশান্ত কিশোরকে আনতে হবে কারণ জয় শ্রী রামের প্রভাব বাড়ছে। আবার প্রশান্ত কিশোরই উত্তর ভারতে শিখিয়েছেন জয় শ্রী রাম কিভাবে বলতে হয়। আর এখন সেখাবে কিভাবে জয় মা কালী বলতে হয়।’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। রাজ্যের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে রাজ্য সরকারকে এক হাত নেন তিনি। অপরদিকে ‘জয় শ্রী রাম’ প্রসঙ্গেও কেন্দ্র সরকারের তীব্র সমালোচনা করেন তিনি। বর্তমানে ‘বেকারত্ব‌’-যে একটা বড়োসড়ো সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে সে বিষয়েও মুখ খোলেন তিনি। প্রাক্তন সাংসদের দাবি, ‘বেকারত্ব বেড়েছে গোটা দেশেই বেড়েছে। সবাইকে কাটমানি বা ব্ল্যাকমানি দিয়ে পুষিয়ে রাখা যায়না।’
বরাবরই আক্রমণাত্মক সূরে কথা বলেন মহম্মদ সেলিম। এদিনও তার ব্যতিক্রম হল না। রাজ্য সরকারের তীব্র সমালোচনার পাশাপাশি কেন্দ্র সরকারের বিরুদ্ধেও সূর চড়ালেন তিনি। এমনকি আগামী বিধানসভা নির্বাচনে এরাজ্যের মসনদে ফের মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বসতে পারবেন কি না সেবিষয়েও নিজের অভিমত জানান তিনি।