দীপান্বিতা সাধুখাঁ : –
কিছুদিন আগে ফেসবুকে একটি পোস্ট করেন স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়। ইনস্টাগ্রামে এর আগে তাঁর একটি ড্রেস পরা ছবি দিয়েছিলেন তিনি। সেখানে বহু লোকে বহু কমেন্ট করেছেন। সেই কমেন্টের প্রেক্ষাপটেই তাঁর ফেসবুকে উত্তর।সব সময় পুরুষ মহিলাদের ঢিলে বক্ষদেশ নিয়ে কেন কথা বলেন? বাচ্চাকে বছরের পর বছর ব্রেস্ট-ফিড করান, তারপর কথা বলুন। আমি আমার ঢিলে বক্ষদেশ নিয়ে গর্বিত। মা হয়েও গর্বিত। আমি আন্ডারওয়্যারড ব্রা পরি না, শুধুমাত্র দুনিয়ার কাছে সুন্দর লাগবে বলে। হ্যাঁ, আমার বক্ষদেশ ঢিলে, আমি এমনটাই ভালোবাসি।
আমার এটা বহুবার মনে হয়েছে যে এখন লোকেদের মধ্যে কোনও কারণ ছাড়াই অহেতুক নেগেটিভিটি আর ঘৃনা চলে এসেছে যে সেটা সারাদিন-রাত নানা ভাবে ওগরাতে থাকে। মানুষের নিজেদের জীবন নিয়ে অখুশি নাকি সমাজটাই এরকম হয়ে গেছে সেটা বোঝা দায় হয়ে গেছে। আমি একজন সেলিব্রিটিকে চিনি না, কিন্তু তাকে সোশ্যাল মিডিয়ায় ফলো করি গালাগাল দেব বলে। তুমি যখন একজন মহিলাকে সহ্যই করতে না পার তাহলে ফলো করছ কেন? শুধু অপমান করবার জন্য নাকি মৌখিক ধর্ষণ করব বলে? আরও ভয়ঙ্কর ব্যাপার এটা যারা করছে তারা শিক্ষিত, সম্ভ্রান্ত, বিবাহিত লোকজন, যারা সমাজের ওপর তলায় বাস করে। তাদের প্রোফাইলে গিয়ে দেখলেই বোঝা যায় সেখানে তারা তাদের স্ত্রীর সঙ্গে সুন্দর সুন্দর ছবি দিচ্ছে। আবার মাঝরাতে এরাই ‘আপনার কেন বুক ঝুলে গিয়েছে’ বলে কমেন্ট করছে। এইসব মানুষরাই আগ্রাসন নিয়ে লেখে, মনে হয় সামনে পেলে এরাই তো মহিলাদের ধর্ষণ করবে। এটা খুব বড় একটা কনসার্ন।
আমি পারফেক্ট চেহারায় বিশ্বাসী নই।
চরিত্রটা যেমন হবে দরকার হলে সেরকম সাজব। আমি এক এক সময় ভাবি রিয়্যাক্ট করব না, কিন্তু না করলে এরা ভাবে যা খুশি, যতটা খুশি বলা যায়। আমি আমার খুঁতগুলো বেআব্রু করে শ্যুট করব।
সদ্য মা হওয়া মেয়েরা আমাকে লিখেছেন, আমাদের মনের কথা আপনি লিখলেন। এখন যদি আপনি বলেন যে ব্রেস্ট-ফিডিংয়ে আপনি বিশ্বাসী নন, তাহলেও আপনাকে অ্যাটাক করা হবে। সমস্ত বেবি-ফুডের সামগ্রীর নীচে লেখা থাকে যে মায়ের দুধ বাচ্চার জন্য সব থেকে ভালো। দুধ খাওয়ালেও সমস্যা, না খাওয়ালেও সমস্যা। এর পরে আমি যেটা করতে চাই সেটা হল আমার শরীরের যে যে জায়গায় যে সমস্ত খুঁত আছে, সেগুলোকে বেআব্রু করে একটা ফটোশ্যুট করবো। নীচে লেখা থাকবে, এগুলো থাকা সত্ত্বেও আমি যা অ্যাচিভ করার সেটা করেছি।