এনআরসি প্রসঙ্গে তরজা মমতা-মুকুল-দিলীপের। একদিকে যখন এনআরসি-এর প্রতিবাদে পদযাত্রা-সভা করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, ঠিক তখনই তৃণমূল সুপ্রিমোর এই পদযাত্রাকে কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার এনআরসি-র প্রতিবাদে সিঁথির মোড় থেকে শ্যামবাজার পর্যন্ত মিছিল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সভা শেষে এদিন শ্যামবাজার মোড়ে সভাও করে তিনি। সভা থেকে এদিন বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়ে মমতা বলেন, ‘‘২কোটি তো পরের কথা, আগে দুজন মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখাক’’
উল্লেখ্য, মোদির বিরুদ্ধে বরাবরই সূর চড়িয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মোদি বিরোধী মুখ হিসেবে বরাবরই তিনি সামনে আসেন। এদিনও তার অন্যাথা হলো না। এদিন শ্যামবাজার মোড়ের সভা থেকেও এনআরসি-র বিরুদ্ধে সুর চড়াতে গিয়ে কেন্দ্রকে আক্রমণ করলেন তিনি। অসমে এনআরসি চালু হওয়ার পর থেকেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব বার বার দাবি করে আসছেন এরাজ্যেও এনআরসি চালু করা হবে। এপ্রসঙ্গে এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘বাংলায় এনআরসি চালু করা হবে না। বাংলা কখনও মাথা নত করবে না, বাংলাকে হিংসা করে লাভ হবে না।’’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। দলীয় কর্মীদের চাঙা করতে এদিন তিনি বলেন, ‘‘এই লড়াই অস্তিত্ব রক্ষার লড়াই। কেন স্বাধীন নাগরিক পরাধীন হবে? আরেকবার ভারত ভাগের চেষ্টা করবেন না। তা মেনে নেবে না বাংলা’’
অপরদিকে দিল্লিতে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক শেষে এদিন কলকাতা বিমানবন্দরে নেমেই এনআরসি বিরোধী এই পদযাত্রাকে কটাক্ষ করেন বিজেপি নেতা মুকুল রায় ও রাজ্য বিজেপি সভাপতি তথা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপ ঘোষ। এনআরসি চালুর পক্ষে এদিন দিলীপ বাবু বলেন, ‘‘পশ্চিমবঙ্গে এনআরসি চালু হবেই। তাতে দু কোটি মানুষের নাম বাদ যাবে।’’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই প্রতিবাদ সভাকে কটাক্ষ করে এদিন মুকুল রায় বলেন, ‘‘সব দেশে নাগরিকপঞ্জি আছে। এদেশে করতে অসুবিধা কোথায়?’’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি, বাংলায় যে মমতার সরকার অশান্তি ডেকে আনছেন তা আরও একবার অভিযোগ করেন এই বিজেপি নেতা। এদিন তৃণমূল সরকারকে নিশানা করে তিনি বলেন, ‘‘ঘোলা জলে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলায় মমতা অশান্তি ডেকে আনছেন’’