‘‘যেদিন বিজেপি ক্ষমতায় আসবে একদিনে সব কেস তুলে দেবো’’ পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার দাসপুরের নাড়াজোলে দলীয় সভা থেকে কার্যত এভাষাতেই হুঁশিয়ারি দিলেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিনের এই সভা থেকে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে রীতিমতো হুঁশিয়ারি দিলেন মেদিনীপুরের সাংসদ। আক্রমণাত্মক সূরে এদিন তিনি আরও বলেন, ‘‘পুলিশ অফিসাররা নিজেরাই লিখে দেবে যে কেস উইথড্র। আর যেই টিএমসি নেতারা তোমার আমার নামে কেস দিয়েছে ওদের কলার ধরে থানায় নিয়ে যাবো। সেখানে গিয়ে বলবো, সই কর আগে কেস তোল তা নাহলে গ্রাম থেকে তুলে নেবো।’’
এদিনের এই সভা থেকে ফের একবার পুলিশ-প্রশাসনের বিরুদ্ধে সূর চড়ালেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি। এদিন রাজীব কুমার প্রসঙ্গে কটাক্ষের সূরে তিনি বলেন, ‘‘মুকুলদার কাছে খবর আছে যে রাজীব কুমার দিদির বাড়িতে লুকিয়ে আছে। ওই একটাই জায়গা আছে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ি কিন্তু জেনে রাখুন সিবিআই এমন জিনিস মাটি খুঁড়েও বের করে আনবে।’’
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। সিবিআই প্রসঙ্গে একাধিকবার বিরোধীদের সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছে বিজেপি সরকারকে। তবে, এদিনের সভা থেকে দিলীপ ঘোষের সাফ জবাব, ‘‘বিজেপি কারও পেছনে সিবিআই লাগায় না। দিদি যেমন আমাদের পেছনে পুলিশ, সিভিক পুলিশ লাগিয়েছে। সুপ্রিম কোর্ট সংবিধান মেনে কাজ করছে। কারো কথায় চলেনা, সুপ্রিম কোর্টই বলেছে যে অন্যায় করবে তার সাজা হবেই।’’
উল্লেখ্য, এদিনের সভায় শুধুমাত্র তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেই নয়, মেদিনীপুর জেলার পর্যবেক্ষক তথা পরিবহণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিরাকীকেও কটাক্ষ করতে ছাড়লেন না তিনি। কটাক্ষ সূরে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বললেন, ‘‘পারলে তৃণমূলের শুভেন্দু অধিকারীকে দিয়ে নাড়াজোলে একটা সভা করে দেখাক। এখন আর পারছেন না, তাই আবার মাওবাদীদের খুঁজছে তৃণমূল।
এখানেই থেমে থাকেননি তিনি। এদিন রীতিমতো কটাক্ষের সূরে তিনি বলেন, ‘‘যে মাওবাদীরা গুলি চালিয়ে মারতো, তাদের কাজে লাগিয়ে নির্বাচনে জিতে গিয়েছেন। এবার তাদের জেলে ঢুকিয়ে দিয়েছে। বিজেপি জঙ্গলমহলে জিতে যাওয়ায় এখন আবার দিদিমণি তাদের জেল থেকে ছাড়াচ্ছে।’’