মধুকল্পিতা চৌধুরী : ‘আত্মরক্ষার স্বার্থেই বাবুল সুপ্রিয়র চুলের মুঠি ধরে ফেলেছি। আমি মনে করি না ভুল করেছি’’ যাদবপুরকাণ্ডে কার্যত এমনই বললেন দেবাঞ্জন বল্লভ।
একদিকে যখন দেবাঞ্জনের মা ক্যান্সার আক্রান্ত রূপালি দেবী হাত জোর করে আর্তি জানাচ্ছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কাছে, ঠিক তখনই উল্টোদিকে রীতিমতো ‘অনুত্তাপহীন দেবাঞ্জন’ এমনই বিবৃতি দিলেন। এদিন যাদবপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন দেবাঞ্জন সহ অন্যান্য পড়ুয়ারাও। সেখান থেকেই তিনি তাঁর অবস্থান স্পষ্ট করেন। এমনকি সোশ্যাল নেটওয়ার্কে যে পোস্ট করা হয়েছে তাও ‘ভুয়ো’ বলেই দাবি করেন দেবাঞ্জন। তাঁর নাম করে কেউ এই ‘ভুয়ো’ পোস্ট করেন বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
এখানেই থেমে থাকেননি যাদবপুরকাণ্ডে অভিযুক্ত দেবাঞ্জন। তাঁর ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পরেই রীতিমতো শোরগোল পরে যায়। এমনকি এরপরেই দেবাঞ্জনের মায়ের ভিডিও প্রকাশ্যে আসে। ক্যান্সার আক্রান্ত রূপালি দেবী হাত জোর করে আর্তি করেন, ‘‘ছেলেকে ক্ষমা করে দিন।’’ যদিও এদিন দেবাঞ্জনের দাবি, তাঁর মা স্ব-ইচ্ছায় এই ভিডিও করেননি। বিজেপি কর্মীরা তাঁর মা-কে ভয় দেখিয়েই এই ভিডিও তৈরি করেন বলেও অভিযোগ করেছেন তিনি।
অপরদিকে, যাদবপুর কাণ্ডে এদিন মিছিল পাল্টা মিছিলে সরগরম মহানগরীর রাস্তা। এরই মাঝে দেবাঞ্জনের এই ধরণের বক্তব্য ঘটনায় যে নতুন মোড় আনতে পারে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।