রাজীব ঘোষ– রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার প্রতিদ্বন্দ্বিতায় আমি নেই। ঘোষণা করলেন বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এক সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এ দিন জানান, একটি শৃংখলাবদ্ধ পার্টির সদস্য তিনি। রাজ্যে রাজনৈতিকভাবে BJP এখন Organise Force সেখানে এইভাবে কখনো মুখ্যমন্ত্রী হওয়া যায় না। প্রসঙ্গত, শুভেন্দু অধিকারী বিজেপিতে যোগদান করার পর থেকেই রাজ্যের গেরুয়া শিবিরে অন্যান্য নেতাদের তুলনায় শুভেন্দু কে নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। কারণ তৃণমূলে তিনি গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী, সাংসদ ছিলেন।দক্ষ সংগঠক তিনি।বিভিন্ন আন্দোলনে সামনে থেকে লড়াই করেছেন। সেই কারণে ইতিমধ্যেই তিনি বিজেপির রাজ্য নেতাদের তুলনায় রাজনীতিতে সবচেয়ে বেশি চর্চার বিষয় হয়েছেন। অনেকের মতে, মুখ্যমন্ত্রীর পদপ্রার্থীর ক্ষেত্রে শুভেন্দু অধিকারী এগিয়ে রয়েছেন। যদিও বিজেপির পক্ষ থেকে দলীয়ভাবে কোনো মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসেবে কাউকে ঘোষণা করা হয়নি। বিজেপির দলীয় নীতি তা নয় বলে জানানো হয়েছে। তবে সেখানে কিছু বিষয় আলোচনার মধ্যে উঠে এসেছে। অসমে হিমন্ত বিশ্ব শর্মা বিজেপির পক্ষে লড়াই করার পরেও দল ক্ষমতায় আসলে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন সর্বানন্দ সোনোয়াল। ত্রিপুরার ক্ষেত্রেও ঠিক একই ঘটনা ঘটেছে। সুদীপ রায় বর্মন সহ অনেকেই বিজেপিতে যোগদান করে দলকে রাজনৈতিকভাবে এগিয়ে নিয়ে গেলেও মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন বিপ্লব দেব। এই ক্ষেত্রে দলের মধ্যে অন্য দল থেকে আসা ব্যক্তিরা সক্রিয়ভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে অংশগ্রহণ করলেও দীর্ঘদিনের দলীয় পদাধিকারীদের ক্ষেত্রে গুরুত্ব দেয় BJP এই প্রসঙ্গে সাক্ষাৎকারে শুভেন্দু অধিকারী জানান, দল যদি তাকে শুধু ক্যাম্পেইন করতে বলে তিনি রাজি আছেন। তিনি Chief Minister হওয়ার দৌড়ে নেই। যদি বিজেপির পক্ষ থেকে ভবানীপুরে Candidate করার নির্দেশ দেওয়া হয় তবে তিনি তাতেও লড়তে প্রস্তুত। শুভেন্দুর কথায়, রাজ্যের প্রায় ৮০ হাজার বুথের মধ্যে ৯০% বুথে বিজেপির সাংগঠনিক কাঠামো রয়েছে। বিজেপি একটি শৃংখলাবদ্ধ পার্টি। এখানে তৃণমূলের মতন ঘোষণা করে দেওয়া যায় না। রাজ্যের তৃণমূল সরকার কে আক্রমণ করে সাক্ষাৎকারে Subhendu জানান, রাজ্যের যে জায়গায় তৃণমূলের খারাপ পরিস্থিতি ছিল সেখানেই তাকে দায়িত্ব দিয়েছিল। তিনি সেই দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করেছিলেন। এই প্রসঙ্গে তিনি খড়গপুর বিধানসভার উপনির্বাচনের কথা তুলে ধরেন। সেখানে Loksabha নির্বাচনের নিরিখে TMC পিছিয়ে থাকলেও উপ নির্বাচনে জয়লাভ করে তৃণমূল। যেহেতু সেই আসনে তৃণমূল জিততে পারবেনা বলে ধরে নেওয়া হয়েছিল তাই তাকে দল দায়িত্ব দেওয়ার পরেও অনেকেই সেখানে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নেন নি। তিনি নিজে দলের আরও অন্যান্য কর্মীদের নিয়ে লড়াই করে সেই আসন জিতিয়ে এনেছিলেন। তৃণমূলে তার গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথা এদিন সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন শুভেন্দু অধিকারী। পাশাপাশি, এটাও জানিয়েছেন, বর্তমানে বিজেপিতে যোগদান করার পর তিনি নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করার চেষ্টা করছেন। তবে তিনি মুখে কিছু না বললেও রাজ্যে BJP যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে তার গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব নিয়ে রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনা শুরু হয়েছে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
Chief Minister-এর দৌড়ে নেই, ভবানীপুরেও Candidate হতে রাজি: Suvendu Adhikari
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.