মধুকল্পিতা চৌধুরী দাস , দীপান্বিতা সাধুখাঁ :
‘৫৫ বছর ধরে একটা পরিবার দেশের মানুষের সব লুটেছে। কিন্তু শেষ পাঁচ বছরে সেই দুর্নীতিকে সামনে নিয়ে এসেছি আমরা। এরাজ্যেও পরিবারতন্ত্র চলছে, পিসি-ভাইপো মিলে সব লুটে নিচ্ছেন। রাজ্যকে এই পরিস্থিতি থেকে বের করে আনতেই হবে।’ ব্রিগেডের সভামঞ্চ থেকে কংগ্রেস ও তৃণমূলকে কার্যত এভাষাতেই কটাক্ষ করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে এরাজ্যে বিজেপির ঘাঁটি শক্ত করতে এদিন ব্রিগেডের মাঠে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। পরিবারতন্ত্র নয়, সার্জিক্যাল স্ট্রাইক থেকে শুরু করে এয়ার স্ট্রাইকের প্রসঙ্গ টেনে এনেও এদিন বিরোধীদের কার্যত এক হাত নিলেন নরেন্দ্র মোদি। উল্লেখ্য, পাকিস্তানের বালাকোটে ভারতীয় বায়ুসেনাবাহিনীর এয়ার স্ট্রাইকের পর থেকেই বিরোধীরা এই এয়ার স্ট্রাইকের সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে থাকে। সেখানেই মুখ্য ভূমিকা নেন এরাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সে প্রসঙ্গ টেনে এদিন ব্রিগেডের মঞ্চ থেকে মোদির কড়া জবাব, ‘এয়ার স্ট্রাইকের ওপর কে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন? জঙ্গিদের লাশ গুনতে কে বলেছেন? বালাকোটের এয়ার স্ট্রাইকের ওপর সন্দেহ প্রকাশ করা মানে দেশের সেনাদের প্রতি অবিশ্বাস প্রকাশ করা। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে বিজেপি সরকার লড়ছে এবং ভবিষ্যতেও লড়ে যাবে।’
এছাড়াও মোদির এদিনের ভাষণে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডি.এ-এর প্রসঙ্গও উঠে আসে। বাংলার সঙ্গে ত্রিপুরার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘ত্রিপুরার হালও একসময় এরকম ছিল। বামেদের হটিয়ে বিজেপি আসা মাত্রই ত্রিপুরার অবস্থার উন্নতি হতে থাকে।’ বাংলার সরকারি কর্মচারীদের বেতন কাঠামোর পরিবর্তন আনার জন্য বিজেপি সরকারকে আনা প্রয়োজন বলেও বলেন তিনি।
এদিন ব্রিগেডের সভামঞ্চে প্রধানমন্ত্রী পৌঁছানো মাত্রই ‘মোদি’ স্লোগানে ফেটে পড়ে ব্রিগেডের মাঠ। মোদির সভা মঞ্চে এদিন উপস্থিত ছিলেন বিজেপি প্রার্থী রন্তীদেব সেনগুপ্ত, অর্জুন সিং, অনুপম হাজরা, লকেট চট্টোপাধ্যায়, এস.এস আলুওয়ালিয়া, বাবুল সুপ্রিয়, রাহুল সিনহা, দিলীপ ঘোষ সহ অন্যান্য বিজেপি নেতৃবৃন্দ।