মধুকল্পিতা চৌধুরী দাস :

ভোট যতই এগিয়ে আসে ততই রাজনীতির ময়দানে প্রার্থীদের জনসভা, বিভিন্ন চ্যানেলে সাক্ষাৎকার দেওয়ার প্রবণতা বাড়তে থাকে। তবে, রাজনীতির ময়দানে দাঁড়িয়ে প্রার্থীদের এমন কিছু বলাও উচিত হবে না যাতে সাধারণ মানুষের মনে কোনও প্রশ্ন ওঠে।
কারণ রাজনীতির প্রধান উদ্দেশ্যই হচ্ছে রাষ্ট্র-সমাজ-জনগণের কল্যান করা। রাষ্ট্র-সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার বাহক যারা তাঁদের মুখের ভাষা অবশ্যই রূচি সম্মত হতে হবে। তাঁদের মুখের ভাষা অত্যন্ত সহজ সরল হওয়া উচিৎ। এমন কোনও ভাষা ব্যবহার করা উচিৎ হবে না যার অর্থ দু-রকম হয়।
এবিষয়টা আমাদের দেশের রাজনীতিবিদদের অজানা নয়। কিন্তু দুখের বিষয় এটাই যে, ভোট যতই এগিয়ে আসতে থাকে আমাদের রাজনীতিবিদদের ততই মুখের ভাষা লাগাম ছাড়া হতে থাকে। তাঁদের মুখের ভাষা এমন জায়গায় পৌঁছে যায় যে সাধারণ মানুষ তাতে আশাহত হয়ে পড়ে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনকে কেন্দ্র করেও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-মন্ত্রীদের মুখের ভাষা হয়ে পড়েছে লাগাম ছাড়া। কেউ বলছে ‘নকুল দানার জল তৈরি’ তো কেউ বলছেন ‘করলার জুস তৈরি’। সাধারণ মানুষের ওপর এই কথাগুলোর কতটা প্রভাব পড়তে পারে? এবিষয় নিয়ে আমরা কথা বলেছিলাম বিশিষ্ট সাংবাদিক সুজিত রায় ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাজ মিত্রের সঙ্গে। সাংবাদিক সুজিত রায় এবিষয়ে বলেন যে, ‘পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক সংস্কৃতি নেই। রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরম্পরা অনেকটাই নর্দমার জলের মতো। কিন্তু এতটা লাগাম ছাড়া কখনোই দেখা যায়নি!’
রাজনৈতিক বিশ্লেষক রাজ মিত্র বলেন, ‘রাজনীতি একটা স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী চলে। এর আগেও রাজনীতিতে অনেক কবিতার লাইন ব্যবহার করা হয়েছিল। তার মধ্যে একটা ছন্দ ছিল। এবং তার একটা সুন্দর মানেও থাকত। এখন আর সেটা নেই বললেই চলে।’

পুরো আলোচনাটি দেখতে ক্লিক করুন ভিডিওতে