নিজস্ব সংবাদদাতা: নন্দীগ্রাম মামলার শুনানি এবার অন্য রাজ্যে করার আবেদন জানিয়েছে পদ্ম শিবির। মুখ্যমন্ত্রীর বিচারপতির বিরুদ্ধে করা মন্তব্যের পর পালটে দেওয়া হয়েছে এই মামলার বিচারপতিকে। কৌশিক চন্দ সরে যাওয়ার পর এই মামলার বর্তমান বিচারপতি শম্পা সরকার। শম্পা সরকারের সিঙ্গল বেঞ্চে চলছে এই মামলার শুনানি। কিন্তু তাতেও সমস্যা তৈরি করছে বিজেপি। তাই এবার মামলা অন্য রাজ্যে স্থানান্তর করার আবেদন জানালেন তারা।
এই বিষয়ে বিস্তারিত জানার জন্যেই ক্যাম্পেইন কলিং পৌঁছে গিয়েছিল বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষের কাছে। তার কাছে এই বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে তিনি জানান, “বিজেপি বা তৃণমূল গণতন্ত্রকে মানেনা। তাই তারা এই ধরনের যুক্তি দেখায়। বিচারব্যবস্থা গণতন্ত্রের একটি পিলার, তাকে তার কাজ নিয়ম মেনেই করতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন নন্দীগ্রাম মামলার বিচারপতি কৌশিক চন্দ অতীতে বিজেপির সাথে যুক্ত ছিলেন, তাই তাকে এই মামলাতে তিনি চাননি। এটাই যদি কারণ হয়, তাহলে অনেক বিচারপতিকেই নিজেদের পদ থেকে সরে দাঁড়াতে হয়। তাই এই সব ভুল যুক্তি”।
একইসাথে NHRC-র করা রিপোর্টের দাবিতে অরুণাভ ঘোষ বলেন, “তালিকায় তৃণমূলের নেতা, বিধায়কদের নাম উল্লেখ করা হয়েছে অভিযুক্ত হিসেবে। কিন্তু তা এখনই প্রমাণিত নয়। তবে এটাও ঠিক যে এরা কেউ গৌরাঙ্গ, শ্রীচৈতন্য দেবও নয়। এরা ফাটাকেষ্টর লেটেস্ট এডিসন”। তবে তার কথায় অভিযুক্ত হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে, প্রমাণ হলে তার ব্যবস্থা নিতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। আর তার জন্যে বিজেপিকেও একটু ধৈর্য্য ধরতে হবে। NHRC প্রসঙ্গ নিয়ে বলতে গিয়ে বিশিষ্ট আইনজীবী অরুণাভ ঘোষ শুভেন্দু অধিকারীর দেহরক্ষী প্রসঙ্গটিও তুলে আনেন। তাঁর কথায়, “দু-আড়াই বছর আগেকার ঘটনায় এখন সিআইডি তদন্ত চলছে। যে সময় এই ঘটনা ঘটে, তখন পুলিশ মন্ত্রীর দায়িত্বে ছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাহলে এখন তারা যে দাবি করছেন, সেটা তখনও ছিল। তাহলে সেই সময় তিনি নিজেই বিষয়টি আড়াল করেছেন। স্বচ্ছ রাজনীতি হলে এই বিষয় গুলো গুরুত্ব পেত। কিন্তু দুই দলই স্বচ্ছ রাজনীতিতে অভ্যস্ত নয়, তাই এই সমস্যা”।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.