নিজস্ব প্রিতেবদন: ব্ল্যাকমানি বা কাটমানি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে একহাত নিলেন বর্ষীয়ান আইনজীবী এবং প্রাক্তন বিধায়ক অরুনাভ ঘোষ। তাঁর দাবি অনেক কিছুই না জেনে এবং সর্বোপরি ভুল কথা বলে মানুষের তাৎক্ষনিক দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন তিনি। কিন্তু তাতে চিঁড়ে ভিজবে না। দাবি, সময় এলেই দুধ আর জল আলাদা হয়ে যাবে। দলের লোকেরাই দায়িত্ব নিয়ে ডোবাবে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে শুধ ব্ল্যাকমানি বা কাটমানি নয় তার সঙ্গে একাধিক প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে আঙুল তুললেন তিনি।
পালে হাওয়া দেওয়ার মত করে কয়েকদিন আগেই ‘কাটমানি’ প্রসঙ্গ তুলেছে বিজেপি। অভিযোগ, সরকারি সব কাজেই কাটমানি খেয়েছে তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা। এর ফলে বাধাপ্রাপ্ত হয়েছে উন্নয়ন। কাটমানি প্রসঙ্গেই আগুনে ঘি পড়েছে। নিজেরা কত স্বচ্ছ তার প্রমাণ দিতে এখন রাত থেকে দিন এক করে ফেলছেন দলের নেত্রী ও সামনের সারির নেতারা। সঙ্গে আছে ফড়র দল। বিজেপির অভিযোগের ওপর ভর করে কাটমানি ফেরারনোর দাবি করেন দলের সুপ্রিমো। কোনও কোনও জায়গায় কেউ কেউ টাকা ফেরতও দিয়ে দেয়। কিন্তু তাতে স্বচ্ছতার প্রমাণ মেলেনি। সব মিলিয়ে অরুনাভবাবুর দাবি ব্ল্যাক মানি আর কাট মানির ভেদাভেদ জানেন না মমতা। তাই দুটোকে এক করে ফেলা হচ্ছে। এ রাজ্যে যারা আয়কর দেন তাদের ক্ষেত্রে ব্ল্যাকমানি কথাটা প্রযোজ্য। কিন্তু সরকারি কোনও জায়গায় থেকে কেউ যদি টাকা নেয় কোনও কাজ করানোর ক্ষেত্রে সেই টাকাকে বলা হয় কাটমানি। অরুনাভ বাবুর দাবি, যদি ব্ল্যাক মানির কথা বলেন তাহলে দলের নেতা ও কাউন্সিলরদের বলুন টাকা ফেরত দিতে। এক এক জনের তিনটে চারটে করে যেমন বাড়ি রয়েছে ঠিক তেমনই কেউ কেউ আবার ৮০ লক্ষ টাকার গাড়ি চাপছে। কোথা থেকে এলো এত টাকা। প্রশ্ন তাঁর। এরকম চললে দলের লোকেরাই আনপপুলার করে দেব মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.