মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কি নিজেই এরাজ্যে বিজেপিকে স্বাগত জানাচ্ছেন? তাঁর এই তোষণ রাজনীতিই কি এরাজ্যে বিজেপির বাড়বাড়ন্তের কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে? সিপিএম নেতারা এতদিন এই অভিযোগই করে আসছিলেন। এবারে সিপিএমের এই অভিযোগকেই কার্যত শীলমোহর দিলেন সমাজকর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই তোষণের রাজনীতির ফলেই ভাইপো অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের জয় নিয়েও একটা ধোঁয়াশা থেকে যাচ্ছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষক অরিন্দম ব্যানার্জী।
২০১৯এর লোকসভা নির্বাচন শেষ হতে না হতেই প্রত্যেকরই পাখির চোখ ছিল বুথ ফেরত সমীক্ষার দিকে। বুথ ফেরত সমীক্ষা থেকে অন্তত এতটুকু স্পষ্ট যে দিল্লির মসনদে ফের বসতে চলেছেন নরেন্দ্র মোদি। আর এ রাজ্যে বিজেপির আসন সংখ্যা ২ থেকে বেড়ে দাঁড়াতে পারে ১০এর ওপর। যদিও বিরোধীরা এই বুথ ফেরত সমীক্ষা মানতে নারাজ। তবে, বুথ ফেরত সমীক্ষাকে পুরোটা অগ্রাহ্য কখনোই কোনও রাজনৈতিক দল করেননি।
বুথ ফেরত সমীক্ষায় এটুকু স্পষ্ট যে এবারে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি অন্তত ১০টির বেশি আসন পাবে। ভোটের ফলের জন্য অবশ্যই আমাদের অপেক্ষা করতে হবে আগামী ২৩শে মে পর্যন্ত। এখান থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে এরাজ্যে বিজেপির পালে বেশ কিছুটা হাওয়া রয়েছে। জিএসটি বা নোট বাতিল হোক কেন্দ্র সরকারের এই সমস্ত প্রকল্পে মোদি বিরোধী মুখ হিসেবে সবার আগে দেখা গিয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তবে, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজ্যে বিজেপির এত বাড়বাড়ন্তের কারণ ঠিক কি? সমাজকর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্যের মতে, ‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের তোষণের রাজনীতির ফলেই এরাজ্যে বিজেপির উথ্থান হচ্ছে।’ তাঁর এই বক্তব্যকে স্বাগত জানিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক অরিন্দম ব্যানার্জী দাবি করেন, ‘এরাজ্যে তোষণের রাজনীতি এতটাই ভয়াবহ হয়ে উঠেছে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপোর নিজের কেন্দ্রে জয় নিয়েও একটা সংশয় থেকে যাচ্ছে।’
এরাজ্যে বিভাজনের রাজনীতি আমরা এর আগে কখনোই দেখিনি। বর্তমানে এরাজ্যে বিভিজনের রাজনীতি যে ভাবে হচ্ছে তা কখনোই কাম্য নয় বলেই জানান সমাজকর্মী নন্দিনী ভট্টাচার্য। তাঁর মতে, রাজনীতির সহাবস্থানের ভিত্তিতেই সকলে থাকতে চেয়েছেন। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এরাজ্যে তা সম্ভব হচ্ছে না।