মধুকল্পিতা চৌধুরী দাস :
কলকাতার সাংবাদিক সম্মেলন থেকে অমিত শাহের কটাক্ষ, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় এখন ভিড় হচ্ছে না। তাই ক্যামেরায় শুধু মঞ্চ দেখানো হচ্ছে। তৃণমূল সরকার ভয়ের আবহাওয়া তৈরি করেছে রাজ্য জুড়ে। তার মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছেন অমিত শাহ।
যাকেই আমরা দলে নিয়েছি রিপোর্ট চেক করে নিয়েছি। চিটফান্ডের তদন্ত হলে সব প্রকাশ পাবে ।
সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেয়ে গেছি। আমরা সরকার বানাচ্ছি। মানুষ মোদীজির সাথে আছে । বাংলায় শরণার্থী সমস্যার সমাধান একমাত্র বিজেপিই করতে পারে।” তুষ্টুকরণের রাজনীতি” করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷মমতা প্রথম দফা থেকেই বুঝে গিয়েছেন এবার আর জয় আসবে না৷ প্রচারেও ভালো ভিড় হচ্ছে না৷ হতাশায় কমিশনের সমালোচনা করছেন৷ মমতা দিদির মুখে গণতন্ত্রের কথা শুনে ভালো লাগে, কারণ উনি তো গণতন্ত্রের কবর দিয়েছেন। বিজেপি সরকার ক্ষমতায় আসলে এনআরসি শুধু বাংলায় নয়, সারা ভারতেই প্রয়োগ করা হবে। সারা দেশে থাকা শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়া হবে। আর বাংলাদেশি-সহ বিদেশিদের খুঁজে বের করে তাদের দেশে পাঠানো হবে। বিরোধীরা শুধুমাত্র ভোটব্যাঙ্কের রাজনীতি করছে। লোকসভা নির্বাচনের আগে কলকাতায় এসে বিরোধী দলগুলির বিরুদ্ধে আক্রমণ শোনালেন বিজেপি-র সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ।
কলকাতায় সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে অমিত শাহের মন্তব্য, “সন্ত্রাসবাদের দমনে বিজেপি জিরো টলারেন্স নীতি নিয়েছে। অথচ, বিরোধীদের ইস্তাহারে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে কোনও কথাই নেই।
কী বললেন অমিত শাহ?
পরিবারতন্ত্র নয়, রাষ্ট্রীয় সুরক্ষাই আসল । প্রথম দফায় মমতা বুঝেছেন, তিনি হারছেন। জনতাই আসল রায় দেবে। মোদী সরকারের নীতি দেশের সুরক্ষাকে আরও জোরদার করেছে। গত পঞ্চায়েতে বাংলার ৩৭ শতাংশ মানুষ ভোট পারেননি। গত পঞ্চায়েতে বাংলার ৩৭ শতাংশ মানুষ ভোট দিতে পারেনি । তৃণমূল সরকার রাজ্যে যে সন্ত্রাসের আবহ তৈরি করেছে, সারদা-নারদের মতো যে দুর্নীতি ছড়িয়ে রয়েছে, তার বিরুদ্ধে মানুষ সরব হবে, বিজেপি-কেই ভোট দেবে মানুষ। রেল বাজেটে গত পাঁচ বছরে ৫ হাজার ৪০০ কোটি টাকা পেয়েছে বাংলা। শরণার্থীরা নন, দেশের সমস্যা হল অনুপ্রবেশকারীরা। বাংলায় আর্থিক উন্নয়ন করতে পারে বিজেপি।