নিজস্ব সংবাদদাতা: গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নিয়ে এবার মহুয়াকে স্পষ্ট বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ‘কে কার পক্ষে বিপক্ষে আমার দেখার দরকার নেই। কতগুলো লোককে সাজিয়ে-গুছিয়ে ফেসবুকে ইউটিউবে সাংবাদিকদের দিয়ে দিলাম। এই রাজনীতি এক দিন চলতে পারে চিরদিন নয়। একই লোক চিরদিন একই জায়গায় থাকবে এটাও ঠিক নয়। পৌর নির্বাচনের প্রার্থী নির্বাচন নিয়ে দল ঠিক করবে কাকে প্রার্থী করা হবে। সবাই মিলে একসাথে কাজ করতে হবে বলেই স্পষ্ট বার্তা দিলেন দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বর্তমানে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলার সভাপতি জয়ন্ত সাহার কাছে গত কয়েকদিন আগে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগের সত্যতা জানতে চান। গোটা ঘটনা পুলিশকে দিয়ে তদন্ত করানোর কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর সেই ঘটনাকে সাজানো ঘটনা বলে সীলমোহর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের গোটা ঘটনার বিষয়ে কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক তৃণমূল সভাপতি জয়ন্ত সাহা বলেন, “মুখ্যমন্ত্রী যা এখানে বলে গেছেন তার মুখের ওপর আর কোন কথা বলা যায়না। একটা দলে সবাই সমান হয় না”। তাই গোষ্ঠীদ্বন্দ্বর কথা এড়িয়ে জয়ন্ত বাবু বলেন, “সবাইকে নিয়ে একসাথে চলার পরামর্শ দিয়ে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। নিষ্ঠা আদর্শকে সামনে রেখে আগামী দিনেও কাজ করব। হয়তো কিছু জায়গায় কিছু ক্ষেত্রে ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে রাজনীতিতে আর সত্যের যে জয় হয় তা প্রমাণ হয়ে গেল মুখ্যমন্ত্রীর কথাতে। তিনি যে সব সময় সব খবর রাখেন সব নজর রাখেন তা আরো একবার প্রমাণিত হল”।
এদিন নিন্দুক ও ষড়যন্ত্রকারীদের উদ্দেশ্যে জয়ন্ত সাহা বলেন, “এগুলো করে বাংলায় লাভ নেই সবাই মিলে মানুষের উন্নয়ন করি মানুষের কাজ করি এটাই আমাদের আদর্শ হোক”। তবে
মুখ্যমন্ত্রীর এহেন বক্তব্যের পর মহুয়া মৈত্রের মুখের হাসি উধাও হয়ে যায়। শুধু তাই নয় মুখ্যমন্ত্রী এই দিনের বার্তা থেকে স্পষ্ট আন্তর্জাতিক স্তরে রাজনৈতিক দায়িত্ব দেওয়া হলেও বাংলায় যে কোনও সাংগঠনিক বিষয়ে তার কথায় যে শেষ কথা হবে সেটা আবারও প্রমাণ করলেন দলনেত্রী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।