নিজস্ব সংবাদদাতা: গত ৪ নভেম্বর কেন্দ্রীয় সরকার সেস কমিয়ে তেলের দাম কমাবার চেষ্টা করেন। রাজ্য সরকার সে পথে যাবে ভাবলেও এক পক্ষ কালে এ রাজ্য সরকার ভ্যাট কমাল না। এদিন কার্যত এই ভাবেই তৃণমূলের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দিলেন বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য।
তার কথায়, “আমরা বিভিন্ন আন্দোলন করলেও প্রত্যেক আন্দোলনই তৃণমূল বাজেয়াপ্ত করছে। ভারতীয় জনতা পার্টি বিধানসভার ভিতরে ও বাইরে পেট্রোলের দাম কমাতে লড়ছে। ১৮-২৪ তারিখ পর্যন্ত ৬ দিন আমরা সব মণ্ডলে আন্দোলন করব। ১৪ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার চললেও বাকি সব উন্নয়ন স্তব্ধ হতে চলেছে”।
একই সাথে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে খোঁচা দিয়ে বলেন, “একদা তৃণমূলের মন্ত্রী, কয়েকদিন আমাদের ডালে থাকা রাজীব বলেছিলেন, ‘বন সহায়ক শুধু নয়, সব পদেই দুর্নীতি হয়েছে। মুখ খুলতে বাধ্য করবেন না’। তিনি এখন চুপ। কিন্তু বিচারপতি আজ তারা কথার ইঙ্গিত ধরেই বোর্ড সভাপতিকে ভর্ৎসনা করেছে। শূণ্য পদ সরকার ভরাট করতে ব্যর্থ। যদিও বিচারাধীন বিষয়। কিন্তু আজ রাজীবের কথা,খুব মনে হচ্ছে। যদিও আজ ফিরে গেছেন রাজীব”।
বিএসএফের সীমান্ত প্রসঙ্গে শমীক বাবু বলেন, “যে প্রতিক্রিয়া দেওয়া উচিত দিচ্ছি না। তবে সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে তৃণমূল নেতারা যা বলেছিলেন, তাতে পাকিস্তানী দৈনিক, ইমরান খানের সুর ছিল। কাশ্মীরে বিচ্ছিন্নতাবাদীদের সুরে এক সাংসদ কথা বলবেন! আঁতুড়ঘর থেকে তিনি যে রাজনীতি শুরু করেছিলেন, তারাও চিন্তা করুন”!
২০২৪ এ ‘ঘরে ঘরে জল’ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “বিদ্যুতের মত এটাও কেন্দ্রীয় প্রকল্প। উনি সহযোগিতা করলে ভালোই। যদিও ওনার টাকায় হচ্ছে না। আজও আর্সেনিক মুক্ত জল দিতে পারেনি রাজ্য”।