নিজস্ব সংবাদদাতা: শেষ হল চার দফার উপনির্বাচন। বেরল ফলাফলও। প্রত্যাশামত চারে চার পেল ঘাসফুল শিবির। তবে এই ফলাফলকে মেনে নিতে নারাজ পদ্ম শিবির। তাই ফলাফল মিটতেই শাসক দলকে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব।
এদিন রেজাল্ট বেরনোর পরই শমীক ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক করে জয়ী দলকে অভিনন্দন জানান। তাঁর কথায়, “সাফল্যের জন্য অভিনন্দন। ভারতীয় জনতা পার্টির কর্মীদের উপর যে হামলা তা ভোলার নয় তা মাননীয় হাইকোর্টের নির্দেশে স্পষ্ট। সন্ত্রাসের আবহে দলের মধ্যে মত ছিল আমরা নির্বাচনে যেন অংশ না নিই। তারপর আমরা লড়াই করি। তৃনমূলের বিপুল জয় রেকর্ড করল। একদলীয় ৩৪ বছরে থাকার পর দিনের শেষে এই ব্যবধান সত্যি জনতার রায় কীনা! আমরা পরাজিত তাই মানুষের রায় নয় বলতে চাই না। ১.৬৩ হাজার ভোটে জেতা এবং বিরোধী ১১% শতাংশ ভোট পেয়েছে তারপর হেনস্তা মানুষ দেখেছে। গোবাসায় একটা মিটিং,কর্মসূচি করতে দেয় নি। আমরা পরাজিত। আশা করবো আগামীদিন মানুষ গণ প্রতিরোধ গড়ে তুলবে”।
একই সঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, “যেভাবে ভোট হয়েছে তাতে আগামী দিনে উপনির্বাচন হলে তৃনমুল ১০০% ভোট পাবে। এমন পরিস্থিতি হচ্ছে। দিনাহাটার একটা গাড়ি দেওয়া হয়নি। গোসাবায় বলা হচ্ছে বাইরে থেকে বেরবেন না। খড়দহে প্রার্থী নিজে ভোট দিতে পারেন নি। নীতিশের বুথ পশ্চিমবাংলার বাইরে নয়। সাধারণ নির্বাচনে আবার জিতব। আমরা অন্য রাজ্যে যেখানে ছিলাম জিতে ছিলাম। নির্বাচনের কিছু হাওয়া ছিল তখন অন্য কিছু ভোট এসেছিল। এখন তাদের মনে হয়েছে তাদের দলকে কিছু ভোট দেওয়া উচিত। যখন ভোট হবে হোক”।
মমতার টুইট প্রসঙ্গে এদিন শমীক বাবু ব্যঙ্গ করে বলেন, “একি কথা শুনি আমি মন্থরার মুখে”।
কর্মীদের মনবল প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “কর্মীদের মনবল ঠিক আছে। যারা লড়াই করেছে তারা এখনও করছে, যারা মাঝে এসেছিল, তারা এখন গিয়ে বলছে ভুল হয়েছে”।