নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলাদেশের ঘটনার প্রতিবাদে পেট্রাপোল চল অভিযানে রাষ্ট্রীয় সংহতির পক্ষ থেকে প্রতিবাদ মিছিল সীমান্ত শহর বনগাঁয়, এক প্রকার পেট্রাপোল সীমান্তে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয় রাষ্ট্রীয় সংগীত সমর্থক ও বিজেপির সমর্থকদের। এমনকি ধস্তাধস্তির শিকার হতে হয় বিএসএফ জওয়ানদের সাথে। উক্ত প্রতিবাদ কর্মসূচিতে উপস্থিত গাইঘাটা বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর এবং বনগাঁ উত্তর এর বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া সহ বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব সহ সাধারণ মানুষ।
বিভিন্ন ধরনের ফ্লেক্স এবং প্ল্যার্কাড নিয়ে এই প্রতিবাদ মিছিল হয়। পায়ে হেঁটে বনগাঁ থেকে পেট্রাপোল সীমান্তে পৌঁছায় এই মিছিল। সীমান্তে আঁটোসাঁটো নিরাপত্তা মুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিএসএফ এবং রাজ্য পুলিশের পক্ষ থেকে। সুব্রত ঠাকুর সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে জানান, “শেখ হাসিনা সরকার চাইলেই প্রথমেই গ্রেপ্তার করতে পারত ইকবালকে। সে কেন প্রথম দিন সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে গ্রেফতার করল না ইকবালকে। এটা পরিকল্পনা মাফিক হামলা করা হয়েছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর অতি শীঘ্রই এই ঘটনার সাথে যারা জড়িত প্রত্যেকের বিরুদ্ধে যদি ব্যবস্থা না নেওয়া হয়, তাহলে আরও বৃহত্তর আন্দোলনে শামিল হব আমরা। বাংলাদেশ এবং ভারতের সীমান্ত বন্ধ করে দেওয়া হবে ভারতের পক্ষ থেকে”।
পাশাপাশি রাষ্ট্রীয় সংহতির সভাপতি সমীর গুহ রায় জানান, “বাংলাদেশের হিন্দুদের উদ্দেশ্যে বার্তা দিলেন আপনারা। সকলে বাংলাদেশ ছেড়ে এবার বাংলায় চলে আসুন। আমরা হিন্দু ভাইরা আপনাদেরকে কাছে টেনে নেব। পাশাপাশি আমাদের ভারতে যে কজন জেহাদী মুসলমান আছে তাদেরকে টেনে বের করে বাংলাদেশে পাঠানো হবে”, এমনটাই কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন তিনি। পাশাপাশি তিনি আরো বলেন, “ওদের হাতে যদি বাবর থাকে আমার মা কালীর হাতে খর্গ আছে এবার আর প্রতিবাদ হবে না হবে প্রতিশোধ নেওয়া হবে”।