নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘বাংলাদেশ নিয়ে ষড়যন্ত্র করছে বিজেপি’। এমনই মন্তব্য করেছিলেন তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। পুজোর পর সাংবাদিক বৈঠকে যোগ দিয়েই তার পালটা জবাব দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
তার কথায়, “কীসের ষড়যন্ত্র আছে জানি না। বাঙালি হিসেবে আমরা বাংলাদেশে আক্রান্তদের পাশে থাকব। বাঙালি হিসেবে তৃণমূল নাকি আমাদের থেকে বেশি বাঙালি। তাদের সরব হওয়া উচিত ছিল। প্রধানমন্ত্রী মুখ না খুললেও সরকারের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন। অথচ ঘরের অনেক কাছে হলেও মুখ্যমন্ত্রী চুপ। তাদের অবস্থান কী”।
‘পুরভোটে চাই কেন্দ্রীয় বাহিনী’ এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “রাজ্য প্রশাসনের পুলিশ দিয়ে স্বচ্ছ ভোট হবে না। কেন্দ্রীয় বাহিনী চাইব। এই পুলিশ নিরপেক্ষ নয়। প্রয়োজনে আদালতে যাব”।
ডিসেম্বরের শেষে পুরভোটের সম্ভাবনা রয়েছে কলকাতায়। এমনই খবর শোনা যাচ্ছে রাজনীতির অন্দরে। এই বিষয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “বিধানসভা নির্বাচনের আগে থেকেই আমরা পুরভোট চাইছি। রাজ্য সরকার চায় নি। তৃণমূল স্পন্সরড হিংসা চলার পর ভোট করার ইচ্ছা ছিল হয়ত। আমরা বেশ কিছু পুরসভায় ভাল অবস্থায় আছি। আমরা আশাবাদী। আমরা হয়ত প্রথম প্রচুর পুরসভায় একসঙ্গে ক্ষমতায় আসব”।
পুজো মিটেছে, আবার নজরে বাকি চার দফা ভোটের প্রস্তুতি। তাই জেলা সফরে মনোনিবেশ করেছে রাজ্য বিজেপি। তাঁর কথায়, “আগামীকাল থেকে আমি আর দিলীপদা দুজনেই জেলায় জেলায় যাব। বীরভূমে বৃহস্পতিবার যাব। শুক্রবার তারাপীঠে পুজো। লক্ষ্য বিভিন্ন স্তরের নেতাদের সঙ্গে কথা বলা। তৃনমূল সন্ত্রাস চালাচ্ছে। গোসাবা দিনহাটাতেও। ভোট পরবর্তী হিংসা হয়ত আরও বাড়বে বলে আশঙ্কা”।
আরজিকরে চলা জুনিয়র ডাক্তারদের অনশন বুধবার ১৭ দিনে পড়ল। ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ৩ চিকিৎসক। এদিন সেই বিষয়ে সুকান্ত বাবু বলেন, “একজন অসুস্থ তার দ্রুত আরোগ্য কামনা করি। স্বাস্থ্য মন্ত্রী বা মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি দল পাঠানো উচিত। আমরা ওদের দাবির পাশে আছি৷ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আমরা নাক গলাব না। তবে পড়ুয়ারা চাইলে আমরা দলগতভাবে ওদের পাশে থাকব”।