নিজস্ব সংবাদদাতা: গোয়ার প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীকে উত্তরবঙ্গে ঘুরতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানালেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। এদিন সল্টলেকে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে শমীক ভট্টাচার্য বাবুল সুপ্রিয় নিয়ে কড়া সমালোচনা করে বলেন, “২০১৪ সালে নরেন্দ্র মোদির হাত ধরে বাবুল সুপ্রিয় পশ্চিমবঙ্গে একটি কঠিন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন,এবং জয়ী হন,তারপর নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রী সভায় জায়গা পান,মন্ত্রীও হন। দ্বিতীয় বারও জয়ী হন বাবুল। দীর্ঘ সাত বছর মন্ত্রী থাকার পর এবং নরেন্দ্র মোদির সাথে সংসার করার পর বুঝতে পারলেন নরেন্দ্র মোদি বাঙালি বিদ্বেষী।বাঙালিদের পছন্দ করেনা। এটা বুঝতে সাত বছর সময় লেগে যায়, যে ব্যাক্তির এটা নরেন্দ্র মোদি বুঝেছিল, তাই বাবুলকে মন্ত্রীত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে” বলে মন্তব্য করেন শমীক ভট্টাচার্য।
“তৃণমূল কংগ্রেস, কংগ্রেস নামটা তো ছাড়তে পারছেনা, এবার আমরা বাঙালি নাম দিয়ে যদি মাঠে নামতে পারে। কিছু করতে পারে,তবে বাংলার মাটিতে উগ্র প্রাদেশিকতা চলবে না,ভাষা নিয়ে বিভাজনের কোন জায়গা নেই। ধর্মীয় বিভাজনের কোন জায়গা নেই। বাবুক সুপ্রিয় close chapter, বাবুল সুপ্রিয় কে মনে হয়না খুব গুরুত্ব দিয়ে, তার বক্তব্যকে মানুষ বিচার করবেন,মানুষ কিভাবে বাবুল সুপ্রিয় কে নিচ্ছেন,তা সোশ্যাল মিডিয়ায় দেখলে বোঝা যাবে”।
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ভবানীপুরকে নিয়ে মন্তব্যের পাল্টা শমীক জানান, “উনি এখন শিল্প মন্ত্রী হয়েছেন, পশ্চিমবঙ্গের মানুষ চায়, আমরাও চাই উনি ওনার নিজের ওজন কমাক, শিল্পের ওজন বাড়াক,যদিও মুখ্যমন্ত্রী তার উপর খুব একটা আস্থা রাখতে পারেনি,তার উপরে একটা হাই পাওয়ার কমিটি বানিয়ে দিয়েছে। যে যত পারছে বিজেপিকে আক্রমণ করার জন্য শব্দ ভান্ডার থে শব্দ নিয়ে আসছে। আসলে নিজেদের TRP বাড়ানোর চেষ্টা করছে। পশ্চিমবঙ্গে এইমুহুর্তে এজেন্ডা হচ্ছে আগামী কালের ভবানীপুরের উপ নির্বাচন,তার জন্য সমস্ত কিছু জলাঞ্জলি দিয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী স্কুল কলেজ বন্ধ রেখেছে, লোকাল ট্রেন বন্ধ রেখেছে, ৫০ জনের বেশি জমায়েতে নিষেধাজ্ঞা, করোনার তৃতীয় ঢেউ কে রুখতে, কিন্তু একমাত্র ভবানিপুরের নির্বাচন বাদ দিয়ে,ভবানিপুরই একমাত্র এজেন্ডা,ভবানিপুরই দশ নম্বর এজেন্ডা।যখন সবকিছুই চলছে,ও লাভলিও চলছে তখন স্কুল কলেজ চলবে না কেন,আর এর মধ্যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঢুকছে কেন?” উনিতো নেই এখন শিক্ষামন্ত্রী, মন্তব্য শমীক ভট্টাচার্যের।