নিজস্ব সংবাদদাতা: হাতে মাত্র সপ্তাহখানেক। রাজ্যের হাইভোল্টেজ ভবানীপুর কেন্দ্রে উপনির্বাচন আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর। তাই চলতি সপ্তাহে টানা প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন তৃণমূল সুপ্রিমো তথা ভবানীপুরের প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার চক্রবেড়িয়ায় তিনি একটি প্রচারসভায় যোগ দেন। সেখানে বিজেপির উদ্দেশ্যে বলেন, “ভ-এ ভবানীপুর, ভ-এ ভারতবর্ষ। এই ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ শুরু। ভবানীপুর থেকেই বাংলা মুখ্যমন্ত্রী পাবে। ভবানীপুর থেকেই ভারতবর্ষ দেখবে”।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবারও ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রচারে বেরিয়ে স্বমহিমায় দেখা গেল তৃণমূল নেত্রীকে। একই ভাবে বিরোধীদের আনা এক-একটি অভিযোগের জবাবও দেন সক্রিয়ভাবে।
গতকাল তিনি দাবি করেন, “এখান থেকেই মুখ্যমন্ত্রী হব। আর ভোটে জিতে বিধায়ক না হলে মুখ্যমন্ত্রীর পদে থাকা শোভনীয় হবে না। আমি ৬ বার দক্ষিণ কলকাতা থেকে ভোটে লড়েছি। ২০১১ সালেও উপনির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকে জিতে মুখ্যমন্ত্রী হয়েছি। ২০২১এও তাই। এটাই হয়ত হওয়ার ছিল”।
তারপরই বিজেপির বিরোধিতায় সরব হয়ে সুপ্রিমো বলেন, “আপনারা জানেন, নন্দীগ্রামে কীভাবে আমাকে ভোটে হারানো হয়েছিল। মনোনয়নের দিনই পা জখম করে দেওয়া হয়। আমি হুইলচেয়ারে বসেই সারা রাজ্য ঘুরেছি। ঠিকঠাক ভোট হলে, বিজেপি ৩০টির বেশি আসন পেত না। ওদের নেতারা তো রোজ দিল্লি থেকে যাতায়াত করেছেন। তাও কিছু হয়নি। ওরা বোধহয় ভাবতে পারেনি যে আমরা এত ভোটে জিতব। কিন্তু আমি ভাঙা পা নিয়েই এতগুলো আসন পেয়েছি”।
এদিনও একই ভাবে সুর তোলেন নেত্রী। বিজেপির আনা জলজমা প্রসঙ্গের কোনও পালটা প্রতিক্রিয়া না দিয়ে তিনি বলেন, “বাংলা নৌকার মতো। পাশাপাশি রাজ্যে বৃষ্টি হলে এখানে জল চলে আসে। আগে বৃষ্টি হলে ৭-১০ দিন জল থাকত। এখন অনেক পাম্পিং স্টেশন করা হয়েছে। বৃষ্টি বেশি হলে সতর্ক থাকুন। জল জমলে বিদ্যুতের খুঁটিতে হাত দেবেন না”।
একই সাথে নন্দীগ্রাম নির্বাচন প্রসঙ্গকে এদিনও নেত্রী বলেন, “ভবানীপুর থেকে ২ বার বিধানসভা ভোটে জিতেছি। ভবানীপুরে সবটাই নখদর্পণে। ভবানীপুর থেকে ঝুঁকি নিয়ে গিয়েছিলাম নন্দীগ্রামে। বুঝতে পারিনি নন্দীগ্রামে চক্রান্ত হবে। নন্দীগ্রামে ভোটে কারচুপি হয়েছে। ভোটে হারাতে পারেনি। পায়ে আঘাত নিয়েই প্রচার করেছি। সর্বশক্তি দিয়ে তৃণমূলকে হারাতে পারেনি”।
এদিন পেগাসাস কাণ্ডে তৃণমূল নেত্রী তোপ দেগে বলেন, “এরা করতে পারে না এমন কোনও কাজ নেই। অভিষেক-পিকের ফোনও ট্যাপ করা হয়েছে”। অসমের বিক্ষোভ এবং দিল্লির দুষ্কৃতীদলের গুলির লড়াইয়ের ঘটনারও এদিন তীব্র নিন্দা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.