নিজস্ব সংবাদদাতা: ভবানীপুর উপনির্বাচন, এই মুহুর্তের সবথেকে বড় চর্চিত বিষয়। উত্তেজনার পারদও ক্রমাগত চড়ছে এই কেন্দ্রে। শাসক দলের লক্ষ্য তৃণমূল নেত্রীকে জিতিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পদে চিরস্থায়ী ভাবে আসীন করা। আর বিরোধী দল বিজেপির লক্ষ্য মুখ্যমন্ত্রীকে হারিয়ে তাকে সেই পদে বসতে না দেওয়া। ফলে ভবানীপুরের উপনির্বাচন এখন খুবই সেন্সিটিভ ইস্যু।
এই বিষয়কেই গুরুত্ব দিতে নিজেদের একচুল জমিও ছাড়ছে না গেরুয়া শিবির। এবার মুখ্যমন্ত্রীর নমিনেশন পত্রের বাতিলের দাবি জানালেন বিজেপি নেতৃত্ব। ক্যাম্পেইন কলিং-এর মুখোমুখি হয়ে এমনটায় প্রায় ঘোষণা করলেন বিজেপি নেতা সজল ঘোষ।
এদিন তিনি বলেন, “নমিনেশন ফাইলের সময় শপথ বাক্য পাঠ করতে হয়। সেখানে একটি পয়েন্ট ছিল আপনার নামে কোনও ফৌজদারি মামলা রয়েছে কিনা। কিন্তু সেখানে তিনি অকপটে জানিয়েছেন তার নামে কোনও মামলা নেই। আমাদের এখানেই আপত্তি। এরকম বিভিন্ন থানায় যে তার নামে ফৌজদারি মামলা রয়েছে, তার প্রমাণ রয়েছে আমাদের কাছে। আর যিনি শপথ চলাকালীন মিথ্যে বলতে পারেন, তিনি আর যাই হোক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন না”।
ভবানীপুর কেন্দ্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিপরীতে দাঁড়িয়েছেন বিজেপি নেত্রী প্রিয়াঙ্কা টিবরেওয়াল। এবং তিনি প্রার্থী হতেই তাকে নিয়ে মন্তব্য শুরু করে দিয়েছেন তৃণমূলের হেভিওয়েটরা। কলকাতা পুরসভার পুর প্রশাসক তো প্রায় জানিয়েই দিয়েছেন যে ‘প্রিয়াঙ্কা ‘বাচ্চা মেয়ে’। ওর সাথে আবার কি লড়াই হবে’। এদিন সেই প্রসঙ্গেই সজল ঘোষ বলেন, “প্রিয়াঙ্কা না হয় বাচ্চা মেয়ে। কিন্তু মমতা ব্যানার্জি তো বড়। তাহলে নন্দীগ্রামে হারলেন কি করে। একবার হেরে লজ্জা হল না, আবার ভোটে দাঁড়াচ্ছেন”।
এরপরই তিনি জোরের সাথে বলেন, “মমতা ব্যানার্জি আগেও হেরেছেন, এবারেও হারবেন”।
ভবানীপুরে কোন হাওয়া বইবে, তা তো সময়ই বলবে। তবে এখন রাজনৈতিক তর্জা নিয়ে যে ভবানীপুরের হাওয়া উষ্ণ হয়ে রয়েছে তা বলায় বাহুল্য।