নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যুকে ঘিরে এক ভয়াবহ নাটক যেন রচনা হয়েছে। মৃত বিজেপি কর্মীর মৃত্যু ঘিরে প্রথম থেকেই নানা ধোঁয়াশা ছিল। প্রথমে বলা হয়েছিল বিজেপি কর্মী অভিজিৎ সরকারের মৃত্যু স্বাভাবিক। কিন্তু কোনমতেই তা মেনে নেয়নি তারা। পোস্টমর্টেম করায়। এমনকি হাইকোর্ট পর্যন্ত যায়। দীর্ঘ কতগুলি মাস পর আজ মৃত অভিজিৎ সরকারের দেহ এনআরএস হাসপাতাল থেকে নিয়ে আসে বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। তবে সেখানেও এক নাটক দেখা যায়। সকালবেলা অভিজিৎ সরকার এর মৃতদেহ আনতে গেলে সেখানে বিজেপি এমএলএ দেবদত্ত মাঝি সেখানকার এক হোম গার্ডের সঙ্গে বিবাদে জড়িয়ে পড়েন তিনি। এমনকি দেবদত্ত মাঝি এক হোমগার্ডকে চড় মারেন বলেও অভিযোগ ওঠে।
সেই বিষয়ে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ কি প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন কি হয়েছে বিষয়টি তিনি জানেন না। তবে যদি তাদের এমএলএ কে কেউ ‘তুইতোকারি’ করে কথা বলে তারও একটা সম্মান আছে। “তাকে কেউ এভাবে কথা বলতে পারে না। এমনকি মৃতদেহ দেওয়ার সময় দীর্ঘ দু’ঘন্টা তাদেরকে দাঁড় করিয়ে রাখে। এমপি অর্জুন সিংকে হাসপাতালের ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। দীর্ঘ টাল বাহানা চলে। তবে শেষ পর্যন্ত মৃতদেহ তারা নিয়ে আসেন”।
এখানেই শেষ নয় আরও অভিযোগ জানান দিলীপ ঘোষ। তিনি জানিয়েছেন “যখন অভিজিৎ সরকার মারা যান তৃণমূল চেয়েছিল স্বাভাবিক মৃত্যু বলে চালিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বিজেপি নাছোড়বান্দা ছিল। তারা পোস্টমর্টেম করার জন্য আরো একবার কলকাতা হাইকোর্টের কাছে আবেদন জানায়।কলকাতা হাইকোর্ট সে আরজি মেনে নেয়। শেষ পর্যন্ত পোস্টমর্টেম করা হয়।
কিন্তু সেখানেও কয়েক মাস লাগিয়ে দেওয়া হয় এবং সেখানেও মৃতদেহকে কোন কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয় না বলেও অভিযোগ তোলেন দিলীপ ঘোষ। মৃতদেহ পচতে শুরু করে। বিজেপি কর্মী সমর্থকরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের লড়াই চালিয়ে যায়। এমনকি তাদের আইনজীবীরাও সেই পথেই ছিলেন বলেই তারা জানিয়েছেন।
অনেক বিজেপি কর্মী সমর্থকরা বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর ঘরছাড়া হয়েছেন তাদের পাশে রয়েছেন বলেও এদিন জানান দিলীপ ঘোষ।