নিজস্ব সংবাদদাতা: বাংলার বিধানসভা নির্বাচন রূপ ধারণ করেছে কমিউনাল নির্বাচনে। একটি রাজনৈতিক নির্বাচন বলতে যা বোঝায় এখানে সেটা হচ্ছে না। এদিন এমন ভাবেই দুই সরকারের উদ্দেশ্যে ক্ষোভ উগড়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী।
তাঁর কথায়, “একদিকে যখন বিজেপি এনআরসি নাগরিক আইন এবং মুসলিম সম্প্রদায়কে তাড়ানো নিয়ে আসলে নেমেছে। এখানে কোনো রাজনীতি কোন উন্নয়নের মানুষের ভালো কল্যাণের গন্ধ নেই। ঠিক তার পাল্টা তৃণমূল পার্টি হাত করেছে মিডিয়াকে। এখানে আমাদের যা বক্তব্য সাতটায় বাংলার মানুষের জন্য সাধারণ মানুষের জন্য। আমরা এবার নির্বাচনে ভবানীপুরে প্রার্থী দিতে পারিনি এটা দুর্ভাগ্য প্রার্থী দিতে পারলে ভালো ভাবে লড়তে পারতাম”।
বৃহস্পতিবার মুর্শিদাবাদের বড়োঞা থানা এলাকার করালি তলা মোড়ে একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে কংগ্রেসের একটি কর্মীসভায় যোগদান করে এই কথা বলেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি তথা এলাকার সংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী। তিনি এদিন কর্মীসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বাংলার তৃণমূল দলকে যেমন এক হাতে নেন উন্নয়ন প্রসঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে। অপরদিকে কেন্দ্র সরকারের নানা জনবিরোধী নীতির তিনি ব্যাখ্যা দেন। এদিন অধীর বাবু আরো বলেন, “কেন্দ্র সরকার প্রত্যেকদিন ব্যবহৃত নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম নিয়ন্ত্রণ করতে ব্যর্থ। ভোজ্য তেল থেকে শুরু করে মুদি দ্রব্য গ্যাস পেট্রোল কেরোসিন সমস্ত কিছুই এখন মধ্যবিত্ত নিম্নবিত্তদের নাগালের বাইরে। অপরদিকে রাজ্য সরকার ৫০০ টাকা করে লক্ষীর ভান্ডার দিয়ে বাংলার মানুষের মন পেতে চাইছে আসলে বিজেপি সরকার যেমন এনআরসি জুজু জনগণনা জুজু দেখিয়ে সাম্প্রদায়িক ভাগাভাগি করছে, ভোট করছে। ভয় দেখিয়ে ঠিক তেমনিভাবেই গত পঞ্চায়েত নির্বাচনে রাজ্য সরকার আমাদের রাজ্যের মানুষের গণতান্ত্রিক অধিকারী কেড়ে নিয়েছে। কোথাও রাজ্যে ভোট হয়নি যা আমাদের ভারতবর্ষের ইতিহাসে প্রথম ফলে আমরা যখন কোন কিছু নিয়ে উন্নয়ন নিয়ে প্রতিবাদ করছি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সরব হলে বিজেপি সরকার করা হাতে অন্যায় ভাবে দমন করছে। যেমন কেন্দ্রে চলছে কৃষকদের উপরে অত্যাচার ঠিক তেমনিভাবেই আমাদের এই রাজ্যে পদে পদে কংগ্রেস কর্মীদের ওপর অত্যাচার করছে শাসকদলের নেতা-কর্মী-সমর্থকরা।
এদিনের সভায় অধীর চৌধুরী ছাড়াও উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জেলা কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক তাপস দাস গুপ্ত কংগ্রেসের কনটেস্ট ক্যান্ডিডেট শিলাদিত্য হালদার প্রমুখরা।