নিজস্ব সংবাদদাতা: পুজোর অনুদান প্রসঙ্গে এবার ফের একবার রাজ্য সরকারকে একহাত নিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ। এদিন নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে এসে রাজ্য বিজেপির সভাপতি বলেন, “সাধারণ মানুষের চাঁদা নিয়ে পুজো হত। সরকার পুজোতে অনুদান কখনও দেয়নি। সরকারের পুজোতে হস্তক্ষেপ করা উচিত নয়। এর আগে আমরা দেখেছি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঠিক করতেন কবে পুজো হবে, কবে বিসর্জন হবে। এগুলো ঠিক নয়”।
এদিন একই সাথে নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তাঁর কথায়, “আমাদের মনে হয়েছে এটা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন হয়েছে। যে জেলায় নির্বাচন হয় সেই জেলায় নির্বাচনী বিধি কার্যকর থাকে। সেখানে একজন প্রার্থীর উপস্থিতিতে এই ধরনের দান-খয়রাত ঘোষণা নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন। আমাদের প্রতিনিধিরা কমিশনকে তা জানিয়েছে”।
এদিন ফের কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে উপ নির্বাচন নিয়ে মুখ খোলেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “রাজ্য নির্বাচন কমিশন কিছুদিন আগেই জানিয়েছিল কোভিড পরিস্থিতিতে নির্বাচন করা সম্ভব নয়। পুর নির্বাচনের ক্ষেত্রে সেই প্রস্তাব ছিল। এখন কোভিডের সংখ্যা আবার বাড়ছে সেই পরিস্থিতিতে এই নির্বাচন। সাধারণ মানুষ সবই দেখছেন। এই পরিস্থিতিতে কি করে এখানে নির্বাচন হচ্ছে এটাই একটা বড় প্রশ্ন?”
ভবানীপুর কেন্দ্রে নিজেদের কোনও প্রার্থী দিচ্ছে না কংগ্রেস। গতকালই সাংবাদিক বৈঠক করে তা জানিয়েছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী। তাদের প্রার্থী না দেওয়া প্রসঙ্গে এদিন দিলীপ বাবু বলেন, “গত নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন এ রাজ্যে কংগ্রেসের ভূমিকা তারাই পালন করবেন। কংগ্রেস ও নিজের নাক কেটে আমাদের যাত্রা ভঙ্গ করতে গিয়েছিল। ফল পেয়েছে নিজেদের কোন বিধায়ক নেই। আগামী লোকসভাতে সাংসদ শূন্য হয়ে যাবে”।
অর্জুন সিং এর বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনায় ফের একবার তৃণমূলকে কাঠগড়ায় তুললেন দিলীপ ঘোষ।তাঁর কথায়, “এটা রুটিন ব্যাপার। অর্জুন সিং ও তার পরিবারকে উত্তপ্ত করতে শাসকদল এটা করছে। উনি টক্কর দিচ্ছেন। সাধারণ মানুষ একদিন এর জবাব দেবে”।