নিজস্ব সংবাদদাতা: তন্ময় ঘোষ এবং বিশ্বজিত দাস ইতিমধ্যেই বেরিয়ে এসেছে গেরুয়া শিবিরের ছত্রছায়া থেকে। দলের মধ্যে দেখা গিয়েছে একটি চাপানউতোর। এদিন সেই প্রসঙ্গেই বিজেপির মুখপাত্র শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “এদের ছাড়াই বিজেপি ১৮ আসন পেয়েছে। কেউ চলে গেলে কিছু করার নেই। এরা শাসনের অলিন্দে থাকতে চান। লোকসভা নির্বাচনের প্রেক্ষিতে এই সবই আলাদা। কারা পশ্চিমবঙ্গে বিজেপি করেন আর কারা চলে যাচ্ছেন তা মানুষ খুব ভালো করে জানে। সঠিক সময়ে মানুষ উত্তর দেবে”।
এরই সাথে তিনি বলেন, “যারা দল থেকে চলে যাচ্ছেন যে কোনো মূল্যে তাদের বিরুদ্ধে দল ত্যাগ বিরোধী আইন আমরা কার্যকর করে দেখাব। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলে কাউন্সিলর নির্বাচন জিতবে না। এরা হয় বিজেপি নয় মমতার কাঁধে ভর দিয়ে জেতে। একা কেউই জেতে না। উন্নয়ন করতে শাসক দল থাকতেই হয় বলছেন ওরা। বিরোধীদের কোনও জায়গা নেই”।
এদিন, তথাগত রায়ের টুইট প্রসঙ্গে শমীক বাবু বলেন, “তথাগত রায় বিজেপির প্রবীণ নেতা। শিক্ষিত মানুষ। দলের যে স্তরে তথাগতদার বক্তব্য নিয়ে আলোচনা হওয়া উচিত তারাই আলোচনা করবেন। আমি এই বিষয়ে তার কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে পারছিনা”।
‘দিব্যেন্দু ও শিশির অধিকারী যেভাবে সাংসদ আছেন, বিশ্বজিতরা সেভাবেই বিধায়ক থাকবেন’, বিশ্বজিৎ দাসের তৃণমূলে যোগ দেওয়া প্রসঙ্গে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এমনই মন্তব্য করেন। এদিন তারই প্রেক্ষিতে শমীক বাবু বলেন, “দিব্যেন্দু অধিকারি কখনো বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন বলে আমার জানা নেই। তার হাতে বিজেপির পতাকা কখনো দেখা যায়নি। শিশির বাবুকেও বিজেপির প্রচার করতে আমি অন্তত দেখিনি। এই সরকার প্রতিহিংসামূলক ভাবে কাজ করছে। বিভিন্ন চিকিৎসকদের অভিযোগ, প্রতিহিংসা মূলক বদলি করা হচ্ছে। তাদের অস্বস্তি আছে। তাদের কিছু করার নেই। এক চিকিৎসক আত্মহত্যা করলেন। বদলি মেনে নিতে না পেরে। তাই ওরা নিজেদের চড়কাতেই তেল দিক। বিজেপির বিষয়ে নাক গলিয়ে লাভ নেই”।
ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে এদিন দফায় দফায় প্রচুর বৈঠক হয় রাজ্যের মধ্যে। সেই প্রসঙ্গে শমীক ভট্টাচার্য বলেন, “কেন্দ্রীয় সরকারের কাছে রাজ্যের প্রতিনিধিরা যাবেই এটাই স্বাভাবিক। এত পরে কেন?? আদৌ কি সরকারের ইচ্ছা আছে, নাকি রাজনীতির ছক??”

5 COMMENTS

Comments are closed.