নিজস্ব সংবাদদাতা: প্রতিদিনের মত মঙ্গলবার সকালেও ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমন করতে আসেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। সেখানে এসে রাজ্যের ডব্লিউবিসিএস পরীক্ষার প্রশ্নপত্র নিয়ে কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, “স্কুল থেকে ডব্লিউবিসিএস তারা যেন লয়াল হন পার্টির প্রতি। যে পরীক্ষা নেওয়া হবে তার জন্য সেখানে পার্টির প্রশ্ন কেন করা হচ্ছে”।
পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন, “কিভাবে রাজনৈতিক প্রশ্ন পরীক্ষা করা হচ্ছে তা আপনারা জানেন। সেই নিয়ে সমাজে আলোচনা হচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি একসময় লাল ছিল। এখন সবুজ হয়েছে। যারা গেরুয়া করণে গল্প বলতেন তারা আজ রাজনৈতিক ক্যাডার তৈরি করার চেষ্টা করছে”।
অন্যদিকে রাজ্যজুড়ে জলাভূমি ও পুকুর ভরাটের কাজ চলছে। সেই প্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, “এসব তো নতুন হচ্ছেনা।সিপিএমের আমল থেকেই হচ্ছে। আপনি অভিযোগ জানাতে পারেন আপনাকে পুলিশ পেটাবে। সমস্ত কিছু সেটিং করা থাকে। কলকাতার আশেপাশে যত জলাভূমি ছিল প্রায় বুঝে ফেলা হচ্ছে পুকুর বুঝে ফেলে সেখানে বড় বড় বাড়ি হচ্ছে এবং আশেপাশের জল পরিষ্কার হচ্ছে না। তার জন্য বৃষ্টির জল রাস্তায় চলে আসছে। যেগুলো আমাদের পুকুরে মাধ্যমে জলাভূমিতে চলে যেত। তার সঙ্গে সঙ্গে আবহাওয়ার পরিবর্তন হচ্ছে। অক্সিজেন কমে যাচ্ছে। পরিবেশের ভারসাম্য নষ্ট হচ্ছে। কিন্তু সিন্ডিকেট শুরু হয়েছে সবকিছু এদের গর্ভে চলে যাচ্ছে। এতে বাধা দেওয়ার কেউ নেই। সবাই এর সঙ্গে যুক্ত রয়েছে। এখন তো পুরোপুরি ভাবে তৈরি হয়ে গেছে জোড়া পুকুর জলাভূমি বুজিয়ে সেখানে বাড়ি তৈরি হচ্ছে। ভিতর থেকে কাগজ তৈরি করে সরকারি লোকেরা যুক্ত হয়েছে”। এমনই অভিযোগ এনেছেন এদিন দিলীপ ঘোষ।
পাশাপাশি তাকে ইস্টবেঙ্গল নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন, “গত বছর শেষ মুহূর্তে যাতা করে চুক্তি সই করা হয়েছিল। তখন তারা বাধ্য হয়েছিল কারণ ক্লাব চালাতে হবে টিম তৈরি করতে হবে। এবার দুমাস আগে থেকেই গন্ডগোল শুরু হয়েছে মমতা ব্যানার্জি যখন গিয়েছে তাদেরকে হাত ধরে এখন তাদের দেখা উচিত ক্লাব টিম তৈরি করতে পারে। রেডিমেড আগে করা উচিত ছিল। তাদের পক্ষে সম্ভব নয় তাহলে ক্লাবের অধিকার থাকবে না সেটা পুরোপুরি কোম্পানি হয়ে যাবে। ক্লাবে ঢুকতে পারবে না এই যে দূরত্ব তৈরি হচ্ছে কোম্পানি এবং ক্লাব গুলোর মধ্যে তাদের সঙ্গে আলোচনা করা উচিত ছিল”।
“মিডিয়া বলছে ইস্টবেঙ্গল খেলবে চিন্তা করার কিছু নেই কিন্তু, বেশিদিন সময় বাকি নেই এরপর টিম তৈরি করতে পারবে না। আমার সঙ্গে কথা হয়েছিল আমি কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছিলাম কিন্তু যেহেতু উনি দেখিয়েছেন কোম্পানির সঙ্গে কথা বলেছেন মাঝখানে ছিলেন তাই ওনার করানো উচিত ছিল। ইস্টবেঙ্গল ক্লাব ফুটবল টাই না হয় তাহলে ক্লাবটা চলে যাবে। চলবে কি করে। মুখ্যমন্ত্রী তার দায়িত্ব রয়েছে সবাই ভয় পায় নাকি উনি বললেন হবে কিন্তু এখনো তৈরি তিনি করেননি। ঝুলিয়ে রেখেছেন। পাশাপাশি স্কুল খোলা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি জানিয়েছেন স্কুল অনেক জায়গায় খুলে গেছে। ট্রেন চালু হয়েছে সাধারণ জীবনযাপনে। আর যদি মনে করেন যে বিপদ আছে তাহলে ভোট চাইছেন কেন। সেই কারণেই যথেষ্ট চিন্তাভাবনা করা উচিত”।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.