নিজস্ব সংবাদদাতা: স্বামী সন্তানকে ছেড়ে গাড়ির চালককে বিয়ে করে সটান থানায় হাজির শালতোড়ার বিধায়ক। এমনই ঘটনার স্বাক্ষী থাকল বাঁকুড়ার বাসিন্দারা। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল বেঁধেছে এলাকাজুড়ে।
নিজের স্বামী ও সন্তানকে ছেড়ে নিজের গাড়ির চালক তথা দলেরই কর্মীকে বিয়ে করে সটান থানায় হাজির হন শালতোড়ার বিধায়ক চন্দনা বাউরী। আর এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই শোরগোল শুরু হয় বাঁকুড়ার গঙ্গাজলঘাঁটি এলাকায়। বিধায়কের এই কাজে দলের কর্মী থেকে বিরোধী দলের সকলেই নিন্দায় সরব হয়েছেন।
সূত্রের খবর, বিজেপি বিধায়ক চন্দনা বাউরীর সঙ্গে দীর্ঘদিনের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক তাঁর গাড়ির চালকের। এই অভিযোগ দীর্ঘদিনের। গঙ্গাজলঘাটির কেলাই গ্রামের বাসিন্দা চন্দনা বাউরীর পরিবারে স্বামী শ্রাবণ বাউরী সহ তিন শিশু সন্তান রয়েছে। তারপরেও কিভাবে তিনি এই সম্পর্কে জড়ান ও ঐ গাড়ি চালকের সঙ্গে বাড়ি থেকে বেরিয়ে আসেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই বিধায়ক মুখ ঢাকা অবস্থায় থানা থেকে বেরিয়ে যান। কিন্তু সংবাদমাধ্যমের প্রতিনিধিদের কোন প্রশ্নের উত্তর তিনি দেননি।
এবিষয়ে বিজেপির বিষ্ণুপুর সাংগঠনিক জেলা যুব মোর্চার সম্পাদক রাজীব কুমার তেওয়ারী বলেন, “খবর পেলাম বিধায়ক তার গাড়ির চালকের সাথে বেরিয়ে গেছে। ওদের দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল। এদের মানসিকতাই হয়তো এমন”। তবে বিষয়টি দলে কোন প্রভাব পড়বেনা বলে তিনি দাবি করেন।
স্থানীয় তৃণমূল নেতা জীতেন গড়াই বলেন, “ন্যাক্কারজনক ঘটনা। তিনটি সন্তান থাকার পরেও একজন মা এই কাজ করেন কি করে ? এই ঘটনাই স্পষ্ট একজন বিধায়ক এলাকার মানুষের জন্য কি কাজ করবেন তা বোঝা যাচ্ছে” বলে তিনি দাবি করেন।