নিজস্ব সংবাদদাতা: বৃহস্পতিবার সল্টলেকের বিডি মার্কেটে চা চক্রে যোগ দিয়েছিলেন বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু। দলীয় কর্মীদের সাথে বেশ আড্ডার মধ্যে দিয়েই কাটান সকালের এই সময়টা। এদিন মূলত, কর্মীদের চাঙ্গা করতেই সায়ন্তনের এই চা চক্র।
এদিন চা চক্র শেষে সায়ন্তন বসু জানান, “বিমল গুরুং এর পাহাড়ে আর কোনো জনাধার নেই। সাম্প্রতিকালের নির্বাচনে ওখানে ভারতীয় জনতা পার্টি তিনটের মধ্যে দুটো আসনে জিতেছে। সাংসদ ও আমাদের আছে। সব থেকে বড় কথা উনি আলাদা রাজ্যের যে দাবি করছেন সেই সঙ্গে উনি তৃণমূল কংগ্রেস এর যোগ সঙ্গী আছে ওনার দাবি সম্পর্কে তৃণমূল কংগ্রেস বলতে পারবে আমাদের পক্ষে বলা সম্ভব নয়। কিন্তু আমরা একটা বিষয় খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই ,পার্মানেন্ট পলিটিক্যাল সলিউশন দরকার কিন্তু তার মানে আলাদা রাজ্য নয়। এখন ভারতীয় জনতা পার্টি ওখানকার নির্বাচিত বিধায়ক এবং সাংসদদের নিয়ে আমরা এই সমস্যার সমাধান করতে পারবো এই বিশ্বাস আছে আমাদের। আসলে সমস্যা হচ্ছে জিটিএ যে চুক্তি ছিল সেই চুক্তি রাজ্য সরকার কার্যকর করেনি। সামগ্রীক ভাবে রাজ্য সরকারের এটা ফেলিওর। বিমল গুরুং এর এখন আর কোনো সেভাবে পাহাড়ে অস্তিত্ব নেই। কাজেই আমরা এটাকে গুরুত্ব দিচ্ছি না”।
এদিন কুনাল ঘোষ প্রসঙ্গে সায়ন্তন বসু বলেন, “এটাতো আগে উনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পুলিশ সম্পর্কেও বলেছিলেন। যখন ওনাকে রাজ্য পুলিশ গ্রেফতার করেছিল। আমি তো বারবার বলি কুনাল বাবুর বলার কোনো অধিকার নেই। ওনার বক্তৃতা প্রেসের সঙ্গে কথাবার্তা আটকানোর জন্য আট দশজন পুলিসের কাজই ছিল পুলিসের ভ্যানে চাপড় মারা বা থালা বাজানো। তার আওয়াজে কিছু বলতে না পারে।পশ্চিমবঙ্গের পুলিশ দলদাশ প্রত্যেকদিন আমাদের নামে কেস হয় প্রত্যেক সপ্তাহে একটা করে ওরেন্ট ইস্যু করে প্রত্যেক মাসে একটা কোর্টে ডেট ফ্যালে। এই ধরণের কথা বলার কোনো মানে হয়না।পুলিশ পুলিসের কাজ করবে। তারা সেখানে গিয়ে ব্লেড নিয়ে বলবেন আত্মহত্যা করবো মানুষকে ইনস্টিগেট করবেন তা যা হওয়ার হবে তাই হয়েছে”।