নিজস্ব সংবাদদাতা: ত্রিপুরায় তৃণমূলের নেতানেত্রীদের উপর হামলার হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে। সোমবার এসএসকেএম থেকে এমনই অভিযোগ তুললেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কথায়, “আমি বিশ্বাস করি, এ সবই হয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের নির্দেশে। তা না হলে ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর অত সাহস হতে পারে না”।
ত্রিপুরায় আক্রান্ত তৃণমূল ছাত্রনেতা জয়া দত্ত ও সুদীপ রাহাকে এসএসকেএম হাসপাতালে দেখতে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। রবিবারই আগরতলা থেকে বিশেষ বিমানে আক্রান্ত তৃণমূল নেতা-নেত্রীদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে ভর্তি করা হয় এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে। সোমবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে ত্রিপুরার ঘটনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ত্রিপুরায় আহত তৃণমূল নেতানেত্রীদের দেখতে সোমবার সকাল ১১টা ১৫ নাগাদ এসএমকেএম হাসপাতালে পৌঁছান মমতা। সঙ্গে ছিলেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। হাসপাতাল পৌঁছে সোজা চলে যান উডবার্ন ওয়ার্ডে। যেখানে ভর্তি রয়েছেন ত্রিপুরায় আহত সুদীপ-জয়ারা। মিনিট পনেরো ছিলেন হাসপাতালে।
এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে শুরু থেকেই বিজেপি-কে আক্রমণ করেন। ত্রিপুরার বিজেপি সরকারকে একহাত নিয়ে তিনি বলেন, “আমাদের ছাত্র নেতাদের উপর পাথর ছোঁড়া হয়েছে, তাঁদের মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছে। পুলিশের সামনেই মারধর করা হয়েছে। আবার পুলিশ তাঁদরকেই গ্রেফতার করেছে। ৩৬ ঘণ্টা এক গ্লাস জল দেওয়া হয়নি। বিনা চিকিৎসায় ফেলে রাখা হয়েছে আহত কর্মীদের। একটা দানবীয় সরকার চালাচ্ছে বিজেপি”।
মমতা আরও বলেন, “অভিষেকের গাড়িও আগের দিন ভাঙচুর করা হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নির্দেশেই এই হামলা হচ্ছে। বিমানে টিকিট দেওয়া হচ্ছে না। অভিষেক বিমানে গেলে পাশের আসনে পাঁচজন গুণ্ডা বসিয়ে দেওয়া হচ্ছে। ওর জীবন বিপন্ন”।
ত্রিপুরা জয়ের লক্ষ্যে মমতার হুংকার, “ছাত্র সমাজের উপর এই হামলার তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি। ত্রিপুরা আর বাংলার মধ্যে কোনও পার্থক্য নেই। মানুষ এর বিরুদ্ধে গর্জে উঠবে। আগামীদিনে ত্রিপুরা আমরা জয় করব”।