নিজস্ব সংবাদদাতা: সংসদে স্মৃতি ইরানি পশ্চিমবঙ্গের নারী নির্যাতন নিয়ে কটাক্ষ করেছেন কিছুদিন আগেই। এদিন সেই প্রসঙ্গেই সুর চড়ালেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “সংবাদমাধ্যমের মুখ থেকে শুনে মন্তব্য করাটা উচিত নয়, প্রয়োজন হলে বলব। নারীদের অধিকার রাজ্যে না থাকলে, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হতেন না। এর থেকেই বোঝা যায় নারীদের অধিকার সম্পর্কে। পশ্চিমবঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নারীদের অধিকার শুধু নয়, সমাজে নারীদের উপরে নিয়ে আসা সবকিছুই তারই প্রমাণ। স্বাস্থ্যসাথীতে শুরু করবে মহিলা, লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্প মহিলাদের জন্যে। এছাড়াও কন্যাশ্রী, রূপশ্রী এই সমস্ত পরিকল্পনা বিশ্বের কাছে প্রশংসার যোগ্য হয়েছে। তার রাজ্যে নারীরাই তো প্রধান মুখ। এই ধরনের প্রশ্ন কেউ করে থাকলে সেটা তাদের অজ্ঞতার প্রতিফলন”।
এদিন, ত্রিপুরার ঘটনা প্রসঙ্গে বিধানসভায় পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, “আমাদের যতই বাধা দাও আমরা আমাদের লক্ষ্যে পৌঁছাবই। পশ্চিমবঙ্গেও আমাদের অনেক বাধা দেওয়া হয়েছে, অনেক কলাকৌশল করা হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে প্রতিনিয়ত অপদস্থ করেছেন তারা, অশালীন আচরণ করেছেন। তিনি শারীরিকভাবে আঘাত পেয়েছেন; তাতেও তৃণমূল কংগ্রেস দমে যায়নি। ত্রিপুরার এই আচরণ প্রমাণ করছে ত্রিপুরাতে যে সরকার বিজেপি সরকার আছে তাদের পায়ের তলার মাটি সরে গেছে সেই আশঙ্কা থেকে সেই ভয় থেকে তারা এই অগণতান্ত্রিক কাজগুলো করছে”।
সিপিআইএম নেতা অনিল বিশ্বাসের কন্যা অজন্তা বিশ্বাসের লেখাকে কেন্দ্র করে যে রাজনৈতিক ঝড় উঠেছে, তার ব্যাখ্যা দিতে গিয়ে পার্থ চ্যাটার্জি বলেন, “কে কোথায় লিখছেন লেখাটাকে বড় করে দেখুন। তার রাজনৈতিক চরিত্রটাকে দেখে লাভ কি আছে? এক আর দ্বিতীয় একটা লেখাটিতেই যদি সবকিছু সামনাসামনি হয়ে যেত তাহলে অনেক কিছুই হত, বিমানবাবু তো বলেছেন বিজেপির বিরুদ্ধে আমাদের সবার এক হয়ে লড়া উচিত। আমি এখনও মনে করি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অনেকদিন আগেই যে কথা বলেছিলেন বিজেপির বিরুদ্ধে আমরা সমস্ত রাজনৈতিক শক্তি বা অন্য যারা বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করতে চান তারা একত্রিত হন এটা সে পথেই কিছুটা অগ্রসর বলেই আমার মনে হয়”।