নিজস্ব সংবাদদাতা: সাংগঠনিক বৈঠকে তুমুল উত্তেজনা, হাতাহাতি! বৈঠক থেকে বেরিয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লেন যুবনেতা। এবং শেষপর্যন্ত মারাও গেলেন! এমনই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে হেস্টিংসের বিজেপি কার্যালয়ে।
বিজেপি সূত্রে খবর, এদিন হেস্টিংসে দলের কার্যালয়ে সংগঠনের তিন জেলার নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন যুবমোর্চার রাজ্য নেতারা। এই বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন রাজু সরকারও। যুবমোর্চার অত্যন্ত পরিচিত নেতা তিনি। যখন বিজেপিতে ছিলেন, তখন মুকুল রায়ের ঘনিষ্ট হিসেবে পরিচিত ছিলেন রাজু। ইদানিং দলের অন্যতম প্রথম সারির নেতা প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে সখ্যতা তৈরি হয়েছিল তাঁর।
গেরুয়া শিবিরের অন্দরের খবর, যুবমোর্চার বৈঠকে ডায়েরি চাওয়াকে কেন্দ্র করে গন্ডগোলের সূত্রপাত।উত্তেজনার মাঝে অসুস্থ হয়ে পড়েন রাজু। বৈঠক ছেড়ে বেরিয়ে যান তিনি। কিছুক্ষণ পর অবশ্য ফের যোগ দেন বৈঠকে। এরপর দ্বিতীয়বার যখন বৈঠক থেকে বেরিয়ে যান, তখন সিঁড়িতেই অসুস্থ হয়ে পড়েন বিজেপির ওই যুবনেতা। তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে, কিন্তু সেখানে ভর্তি করা যায়নি। শেষপর্যন্ত বাইপাসের ধারে একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে মারা যান রাজু সরকার।
বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ অবশ্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, “বৈঠকে গন্ডগোল বা উত্তেজনা খবর নেই। কথা কাটাকাটি হয়েছিল। হার্ট অ্যাটাকে মারা গিয়েছে রাজু সরকার”।
জানা গিয়েছে, যথেষ্ট ভারী চেহারা ছিল রাজু সরকারের। হাই ব্লাড পেসারের রোগী ছিলেন তিনি। যুবনেতার মৃত্যুর খবর পেয়ে হাসপাতালে যান যুবমোর্চার রাজ্য সম্পাদক সৌমিত্র খাঁ, প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায়, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো রাজ্য বিজেপির প্রথমসারির নেতারা।