নিজস্ব সংবাদদাতা: মাধ্যমিক-উচ্চ মাধ্যমিকের রেজাল্ট এবং তার পরবর্তী রাজনৈতিক তর্জা এই মুহুর্তের সবথেকে বড় চর্চিত বিষয়। সেই বিষয় এবং পশ্চিমবঙ্গের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আমাদের সাথে কথা বললেন বিজেপি নেত্রী রাখী মৈত্র। সরকারের বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিলেন তিনি।
তাঁর কথায়, “এবার শিক্ষাক্ষেত্রেও রাজনীতি ঢুকে গেল। তাও আবার এই রাজ্যের শাসক দলের হাত ধরে। একজন ছাত্রী উচ্চ মাধ্যমিকে প্রথম হয়েছে, সেটা আনন্দের কথা। কিন্তু তার মানে তো এই নয় যে তার ধর্মেরও পরিচয় দিতে হবে। অথচ এবছর সেটা হয়েছে। প্রথম হওয়া ছাত্রীর ধর্মের পরিচয় দেওয়া হয়েছে বারংবার। আর কি বলা যায়, এবিষয়ে”।
ডোমের পরীক্ষায় আবেদন জানিয়েছেন ইঞ্জিনিয়ার, এমএ পাশ করা পড়ুয়ারা। এই খবর সামনে আসতেই রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। ‘কোথায় চাকরি?’ জানতে চেয়েছেন অনেকেই। এদিন এই একই প্রশ্ন রাখী দেবীও ছুঁড়ে দেন রাজ্য সরকারের উদ্দেশ্যে। তাঁর কথায়, “ভদ্রমহিলার লজ্জা করা উচিত। কোথায় রাজ্যের শিক্ষা ব্যবস্থা, চাকরি ক্ষেত্র পৌঁছেছে তা দেখেই লজ্জা করা উচিত তাঁর। এই হচ্ছে এগিয়ে বাংলার নমুনা। একসময় কলকাতা, যাদবপুর, প্রেসিডেন্সি থেকে পাশ করা পড়ুয়াদের ‘ভালো স্টুডেন্ট’ এর তকমা দেওয়া হত। অথচ আজ তারায় ডোমের পরীক্ষার জন্য আবেদন জানাচ্ছেন। সত্যিই লজ্জার বিষয়!”
একই সাথে এদিন শান্তনু সেনের বিষয়েও রাখী মৈত্র দাবি করেন, “তাঁর সাংসদের পদই বাতিল করা উচিত ছিল। এটা সান্ত্বনা পুরস্কার হয়ে গেল”।