নিজস্ব সংবাদদাতা: ভোট পরবর্তী হিংসা মামলায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে অসংগতি নিয়ে বৃহস্পতিবার রাজ্যের তরফে কলকাতা হাইকোর্টে জোরদার সওয়াল করলেন আইনজীবী তথা রাজ্যসভার সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুরেই উচ্চ আদালতে শুনানি চলাকালীন অভিষেক মনু সিংভি বলেন, “ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে একাধিক অসংগতি রয়েছে। যে যে ঘটনার উল্লেখ রয়েছে, তার বেশিরভাগটাই ভোটের আগেকার। সেসময় রাজ্যের আইনশৃঙ্খলার দায়িত্ব ছিল নির্বাচন কমিশনের হাতে। এতেই বোঝা যায়, মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট পক্ষপাতদুষ্ট। আর ভোট পরবর্তী সময়ে হিংসা নিয়ে যে যে রিপোর্ট জমা পড়েছে, তার অনেকগুলোতেই ইতিমধ্যে পুলিশ পদক্ষেপ নিয়েছে”।
এদিন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের একটি ডিভিডি জমা পড়ে আদালতে।যাতে অভিজিৎ সরকারের ডিএনএ পরীক্ষার ছবি লোড করা হয়েছে। প্রমাণের সূত্রেই সেই ছবি জমা দেওয়া হল আদালতে।
মানবাধিকার কমিশনের আইনজীবী এদিন আদালতে জানান, “আদালতের নির্দেশের পরেও অনেক অভিযোগ গ্রহণ করেনি রাজ্য পুলিশ। নব রায়, তপন হালদার অভিযোগ জানাতে গিয়ে ফিরে এসেছে। তাই অনেকেই মানবাধিকার অফিসারদের সামনে অভিযোগ করেছেন। নারীদের উপর শারীরিক অত্যাচার ও হচ্ছে। অনেকে বলেছেন নারীদের শারীরিক নিগ্রহের অভিযোগ যারা জানিয়েছেন তাদের শাসক দলের নেতাদের পক্ষ থেকে হুমকি পর্যন্ত দেওয়া হয়েছে”।
এদিনের শুনানির পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতিদের নির্দেশ, ২৬ জুলাই রাজ্যকে হলফনামা দিতে হবে। পালটা হলফনামা ২৮ জুলাইয়ের মধ্যে জমা দেওয়া হোক। ওইদিনই চূড়ান্ত শুনানি হবে।