নিজস্ব সংবাদদাতা: শুক্রবার ছিল মুকুল রায়ের বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনের প্রথম শুনানি। যেখানে বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘরে মুকুল রায় হাজির না হলেও ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী সহ বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের ঘরে হাজির হয়ে মিনিট চারেকের মধ্যে সেখান থেকে বেরিয়ে যান শুভেন্দু অধিকারীরা। চার মিনিটের মধ্যেই প্রথম দিনের শুনানি সেরে বেরিয়ে পড়েন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা। আগামী ৩০ জুলাই ফের এই মালার শুনানি হবে বলে খবর।
শুধু তাই নয়, বিজেপির টিকিটে বিধায়ক নির্বাচিত হয়ে মুকুল রায় যেভাবে পদ্ম শিবির ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন, সে বিষয়ে তাঁর বিরুদ্ধে দলত্যাগ বিরোধী আইনের জেরে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হতে পারেন শুভেন্দুরা। যদিও সে বিষয়ে বিজেপির তরফে এখনও খোলসা করে তেমন কিছু জানানো হয়নি।
এদিন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “পূর্ব অভিজ্ঞতা আমাদের ভাল নয়। এর আগেও এ ধরনের মামলার নিষ্পত্তি হয়নি। ২৩ বার শুনানির পরও যদি গাজোলের বিধায়ককে নিয়ে সিদ্ধান্ত না নেওয়া হয়, তা হলে এ ক্ষেত্রেও গড়িমসি চলার সম্ভাবনা রয়েছে। আমরা আদালতে যাব। মূলত দু’টো আবেদন আমাদের থাকবে আদালতের কাছে। এক, আমরা চাই দলত্যাগ বিরোধী আইন প্রণয়ন করা হোক এ রাজ্যে। দুই, শুনানির উপর ভিত্তি করেই যদি বিধায়কের পদের ভবিষ্যৎ নির্ধারিত হয়, সে ক্ষেত্রে যেন আদালত রায়দানের সময়সীমা বেঁধে দেয়। অনির্দিষ্টকাল ধরে শুনানি চলবে এটা হয় না”।
একইসাথে তিনি এও বলেন, “তৃণমূল হুমকি দিয়ে, প্রলোভন দেখিয়ে বিজেপি থেকে সকলকে নিয়ে যেতে পারে। কিন্তু তাতে তাদের দেহ চলে গেলেও, মন পড়ে থাকবে পদ্ম শিবিরেই”। এদিন একই সঙ্গে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রায়কে উল্লেখ করেও শাসকদলকে একহাত নেন বিজেপির বিরোধী দলনেতা।