নিজস্ব সংবাদদাতা: ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম ঐতিহাসিক মাহেশের রথযাত্রাকে কেন্দ্র করে বহু কাল থেকেই উন্মাদনা রয়েছে ভক্তদের মধ্যে। কিন্তু করোনা আবহে সেই উন্মাদনা এখন অতীত। সরকারি নির্দেশ মেনে গত বছর থেকে স্থগিত হয়েছে বিখ্যাত এই রথযাত্রা। গত বছর থেকেই বদলেছে নিয়ম। মাসীর বাড়ি রওনা দিচ্ছেন নারায়ণ শীলা খন্ড। আবার উলটোরথে তা ফিরছে। ঠিক সেই রীতি মেনেই এবারেও নারায়ণ শীলা গেল মাসীর বাড়ি।
গত বছরের মতো এবারেও শ্রীরামপুরের সাংসদ কল্যাণ বন্দোপাধ্যায় পদব্রজে গেলেন মাসির বাড়ি। সঙ্গে নিয়ে গেলেন সিংহাসনে প্রতিষ্ঠিত নারায়ণ শিলা। একে বারে আড়ম্বরহীন পরিবেশে জগন্নাথ বাড়ি থেকে মাসীর বাড়ি প্রায় এক কিলোমিটার হেঁটে নারায়ন শিলাকে মাসির বাড়ি পৌছে দেন সাংসদ। এই দু’বছর এই কাজের সান্নিধ্যে আসায় আপ্লুত সাংসদ৷ তাঁর কথায়, “আমার জন্ম জন্মান্তরের পুণ্যের ফল এটি। তাই সুযোগ পেয়েছি বাবা জগন্নাথ দেবের কাজ করার”।
একই সাথে তিনি জানান, “ঈশ্বরের কাছে শুদ্ধ মনে কিছু করলে, তার কাছে আর কিছু চাওয়া যায় না। চাওয়ার মধ্যে তিনটি বিষয়ই চাই- ভক্তি, শক্তি ও জ্ঞান”।
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে মাহেশের এই জগন্নাথ মন্দির ও তার আশেপাশে সৌন্দর্যানের জন্য অর্থ বরাদ্দ করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই মতো ইতিমধ্যেই নবরূপে সেজে উঠেছে জগন্নাথ মন্দির সহ গোটা চত্বর। মন্দিরের এই নবরূপ এদিন থেকেই ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। পুলিশি নজরদারিও রয়েছে চোখে পড়ার মতো।