নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজ্যে পেট্রোলের দাম সেঞ্চুরি পেরিয়েছে, ডিজেলের দামও আকাশছোঁয়া, রান্নার গ্যাসের দাম বেড়ে চলেছে ক্রমাগত। শনিবার পেট্রোলের দাম ১০১.০১ টাকা। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে ডিজেলের মূল্যও (৯২.৯৭)। সেই পেট্রোল-ডিজেলের মূল্যবৃদ্ধি ইস্যুতেই এদিন রাজ্য জুড়ে চলে বিক্ষোভ সমাবেশে। তৃণমূলের ডাকা সেই বিক্ষোভ সমাবেশ নিয়ে এবার মুখ খুললেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
তিনি বলেন, “বিজেপি আন্দোলনে নেমেছে তাই দেখেই তৃণমূলও আন্দোলনে নেমেছে। আন্দোলন করে দাম কমবে না। আন্তর্জাতিক মার্কেটের সাথে যখন স্টেবল হবে তখনই কমবে পেট্রোল-ডিজেলের দাম। দাম কমার বিষয়টি ঠিক করবে কোম্পানিগুলো। রাজ্যে ভ্যাক্সিন কেলেঙ্কারি, ক্রমাগত চলা হিংসা নিয়ে সরকারের কোনও বক্তব্য নেই। পেট্রোল-ডিজেলের ওপর যে সেস বসিয়েছে রাজ্য সরকার, তা কমিয়ে দিক। তাহলেও মানুষের অনেক উপকার হবে”।
এদিন ফের একবার মুকুল রায়কে আক্রমণাত্মক ভাষায় আঘাত করেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “পার্টির গায়ে অন্য গাছের ছাল। বিষয়টা সবাই জানে। এক গাছের ছাল সবসময় অন্য গাছে লাগে না। আমরা এক্সপেরিমেন্ট করেছিলাম লাগেনি। আমরা আমাদের কাজ করছি। যারা দলে এসেছেন তারা পার্টির আইডিওলজি জেনেই আসছেন। পার্টির স্বার্থর থেকে যখন ব্যাক্তিগত স্বার্থ বড় হয় তখন সমস্যা তৈরি হয়। আমাদের মনোবলে পার্টি বড় হয়েছে। তাই তারা পারেননি কর্মীদের মনোবল ভাঙতে”।
এদিন সৌমিত্র খাঁয়ের নতুন করে করা ফেসবুক পোস্ট নিয়েও ক্ষোভপ্রকাশ করেন সভাপতি। তাঁর কথায়, “আমি পার্টির পক্ষ থেকে সব পরিষ্কার করে বলে দিয়েছি। যাদের বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে তাদের সমস্যা হচ্ছে, তাদের কিছু গন্ডগোল আছে”।
ডিএসপি পদমর্যাদার আধিকারিকের মেয়ে এবার নিগৃহীত। তাঁর মেয়ে শহরের নামী কলেজের ছাত্রী। অভিযোগ, কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে নানাভাবে উত্যক্ত করছে এক যুবক। মাস দেড়েক আগে সে আবার ভুয়ো আইডি তৈরি করেছে। সেই আইডি থেকে ওই তরুণীর ফটোশপ করা অশ্লীল ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। সঙ্গে ফোন, এমনকী হোয়াটস অ্যাপ নম্বরও! নিজে ফোন করেও নানারকম অশ্লীল কথাবার্তা বলছে অভিযুক্ত। গোটা ঘটনাটি জানিয়ে ইতিমধ্যেই বিধাননগর থানায় অভিযোগও দায়ের করেছেন ওই পুলিসকর্তার স্ত্রী ও মেয়ে। কিন্তু তাতেও কোন লাভ হয়নি। এদিন সেই ঘটনা নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছেন দিলীপ ঘোষ। তাঁর কথায়, “পুলিশ ঠুঁটো জগন্নাথ। এফিসিয়েন্ট পুলিশ কর্মীদের গ্যারেজ করা হয়। পুলিশ চাকরি করে তাদেরও কিছু করার নেই। কোচবিহারের প্রাক্তন এসপিকে সত্যি রিপোর্ট দেওয়ায় কেমন করে রগরানো হচ্ছে তা সবাই দেখতে পাচ্ছেন। পার্টির লোকেরা যা বলে দেয় পুলিশ তাই করবে। এক্ষেত্রেও পুলিশের পরিবার সঠিক বিচার পাবেন কিনা সন্দেহ আছে “।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.