নিজস্ব সংবাদদাতা: বঙ্গ বিজেপির চার সাংসদকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হয়েছে। ফলে তাঁরা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন। আর ছাঁটাই করা হয়েছে দুই মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীকে। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী হয়েছেন- নিশীথ প্রামানিক, জন বার্লা, সুভাষ সরকার, শান্তনু ঠাকুর। এবার এই ইস্যুতে টিপ্পনী কাটলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রীদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, “এই পুরস্কার আসলে সান্ত্বনা পুরস্কার”।
কুণাল ঘোষ বিষয়টি নিয়ে টুইটারে লিখেছেন, “পূর্ণমন্ত্রী নন বাংলা থেকে চার রাষ্ট্রমন্ত্রী। তাঁদের মন্ত্রিত্বের শুভেচ্ছা জানাই। তবে দামি মানিব্যাগে রাখলে অচল পয়সা কি আর সচল হয়? বাবুল–দেবশ্রী রাজ্যকে কি দিয়েছেন হিসেবটা চান। বুঝবেন নতুনদের এই সান্ত্বনা পুরস্কারের দাম কতটুকু। নির্বাচনের যে অঙ্কে এই খেলা, সে অঙ্ক মিলবে না”।
কুণাল ঘোষের এই মন্তব্যের পরই তার পালটা জবাব দিয়েছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “এত চিন্তা কেন? কি হল না হল ওনাদের মন্ত্রীরা সামলান। অন্যের ঘরে উঁকি ঝুঁকি মারা বদভ্যাস, তা পালটে ফেলায় ভাল”। তার কথায়, “ভারতীয় জনতা পার্টি সর্বভারতীয় দল। সঠিক কাজ করেছে পাঁচ বছর তাই লোকে ৩০৩ টা সিট দিয়েছে তাদের”।
এদিন বেসুরী কর্মীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ ঘোষ সাফ ভাষায় জানিয়েছেন, “ইস্তফা দেওয়ার জন্য দরজা খোলা আছে। যদি কেউ মনে করে আমাকে বাদ দিয়ে বিজেপি চলবে না, তাহলে সেটা ভুল। এরকম লক্ষ লক্ষ লোক বিজেপিতে আছে। যদি কারোর অসুবিধা হয় তাহলে তিনি যেতে পারেন”।
এদিন সৌমিত্র খাঁকেও বেশ কড়া ভাষায় শাসন করেন দলের হাই কম্যান্ডার। তিনি বলেন, “যুবনেতার এধরনের অর্বাচীন কাজকর্ম করাটা খুব স্বাভাবিক। বিজেপিতে এসেছেন বুঝতে সময় লাগবে, বুঝে যাবেন। প্রথম প্রথম ছোটদের দোষ আমরা মাফ করে দিই। তার বয়সের সঙ্গে সঙ্গে যদি ম্যাচুরিটি না আসে তার জন্য পার্টিতে ব্যবস্থা হবে। পাগলামির একটা সীমা থাকে এটা ঠিক হওয়া উচিত। যখন ব্যবস্থা হবে ঠিক সংবাদমাধ্যম জানতে পারবে”।
Sign in
Welcome! Log into your account
Forgot your password? Get help
Password recovery
Recover your password
A password will be e-mailed to you.