নিজস্ব সংবাদদাতা: এতদিন রাজ্য থেকে দু’ জন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়৷ এবার রাজ্য থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর সংখ্যা বাড়ল ঠিকই, কিন্তু বাংলা থেকে পূর্ণমন্ত্রীর দায়িত্ব পেলেন না কেউ৷ রাজ্যে থেকে নির্বাচিত চার সাংসদই প্রতিমন্ত্রীর মর্যাদা পেলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায়৷ এ দিন রাষ্ট্রপতি ভবনে প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই শপথ নিলেন সুভাষ সরকার, নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর এবং জন বার্লা৷ তবে কে কোন মন্ত্রকের দায়িত্ব পেতে চলেছেন, তা এখনও জানা যায়নি৷
এ দিন মোট ৪৩ জন সাংসদ কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেন৷ বাংলা থেকে নির্বাচিত দুই সাংসদ বাবুল সুপ্রিয় এবং দেবশ্রী চৌধুরীও প্রতিমন্ত্রী হিসেবেই দায়িত্বে ছিলেন৷ এ দিন দু’ জনেই পদত্যাগ করেছেন৷ তার বদলে বাংলা থেকে নির্বাচিত চার সাংসদকেই সেই প্রতিমন্ত্রীর পদমর্যাদাই দেওয়া হল৷
রাজ্য থেকে নির্বাচিত চার সাংসদকে মন্ত্রী করার মধ্যেও বিজেপি-র রাজনৈতিক কৌশল স্পষ্ট৷ এর মধ্যে সবথেকে উল্লেখযোগ্য পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবিতে সরব হওয়া জন বার্লার কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় জায়গা পাওয়া৷ বাংলা দখলের স্বপ্ন ব্যর্থ হলেও ভোটের ফলেই স্পষ্ট, রাজ্যে এখনও উত্তরবঙ্গেই সবথেকে বেশি জনসমর্থন রয়েছে বিজেপি-র৷ জন বার্লার পৃথক উত্তরবঙ্গের দাবি নিয়ে যতই বিতর্ক হোক না কেন, তাঁকে মন্ত্রী করে আদিবাসীদের মন জয় করা গেল বলেই মনে করছেন অনেকে।
অন্যদিকে, মতুয়া সম্প্রদায়ের মন জয় এবং সমর্থন ধরে রাখতেই মন্ত্রী করা হল বনগাঁর সাংসদ শান্তনু ঠাকুরকে৷ কারণ এখনও সিএএ কার্যকর না হওয়ায় বিজেপি-র প্রতি মতুয়াদের মধ্যেও ক্ষোভ জন্মাচ্ছিল৷ বিধানসভা নির্বাচনে সেভাবে সফল না হলেও রাজ্যের পশ্চিমাঞ্চলে বিজেপি-র সংগঠন যথেষ্ট শক্তিশালী৷ সম্ভবত জঙ্গলমহলের এই জনসমর্থনের কথা মাথায় রেখেই মন্ত্রিসভায় জায়গা দেওয়া হল বাঁকুড়ার সাংসদ সুভাষ সরকারকে৷