নিজস্ব সংবাদদাতা: রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত উত্তর ২৪ পরগনার কামারহাটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভার মোড় এলাকা। অভিযোগ, বেশ কয়েকজন বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতী তৃণমূল কর্মীদের উপর হামলা চালায়। এলাকায় চলে গুলিগোলাও। এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ করে স্বমহিমায় ময়দানে নেমে পড়লেন মদন মিত্র। দুষ্কৃতী দৌরাত্ম্যের প্রতিবাদে রবিবার বিকেলে কোভিড বিধি মেনে মিছিলের ডাক দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক।
ঠিক কি হয়েছিল? মদন মিত্রের অভিযোগ, অন্যান্য দিনের মতো শনিবার সন্ধেয় কামারহাটির ২২ নম্বর ওয়ার্ডের বিভার মোড়ে তৃণমূলের কার্যালয়ে বসেছিলেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল কর্মী। সেই সময় আচমকাই বেশ কয়েকজন যুবক বাইকে চড়ে ওই এলাকায় পৌঁছয়। লাথি মেরে তৃণমূল কার্যালয়ের দরজা খোলে তারা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই মানস বর্ধন এবং শুভ্র নামে দুই সক্রিয় তৃণমূল কর্মীকে টেনে হিঁচড়ে বিভার মোড়ে নিয়ে যায় তারা। বেধড়ক মারধর করা হয় তাঁদের। চলে গুলিও। প্রচণ্ড শব্দে আশপাশের বাড়ির লোকজন আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে পড়েন তাঁরা। ততক্ষণে অবশ্য ঘটনাস্থল ছেড়ে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। এই ঘটনায় গুরুতর জখম হন ওই দুই তৃণমূল কর্মী। বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে তাদের।
ঘটনার খবর পেতেই এলাকায় যান মদন মিত্র। এই ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে বেলঘড়িয়া থানার পুলিশ। তবে ইতিমধ্যেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মদন মিত্র। তাঁর কথায়, “বিজেপি উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই দালাল তৈরি করছে। দু’ পয়সার ক্রিমিনালদের দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছে। আজ থেকে আমি এলাকায় নাইট গার্ড হিসেবে থাকব। ডান্ডার দরকার নেই, পার্টির ঝান্ডা নিয়ে আমরা পাহারায় থাকব। আমি শুনেছি এলাকায় তোলাবাজি হচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। ভয় দেখিয়ে টাকা চাইছে। কেন টাকা দেবে মানুষ’? নেতার সংযোজন, কোনও গুন্ডাকে টাকা দেবেন না। কেউ টাকা চাইলে, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমি মোকাবিলা করব। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের জোড়া হামলার মধ্যে এই বিধানসভার মানুষ আমাদের ৩৬ হাজার ভোটে জিতিয়েছে। কেন আমার এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না? আমি পাহারায় থাকব”।
এরপরই আরও একটু বিতর্ক বাড়িয়ে মদন মিত্র বলেন, “ভগবান যদি না চান,কামারহাটিকে ভাটপাড়া হতে দেবেন না। উনি যদি তাঁর কথায়, ‘BJP উত্তর ২৪ পরগনা থেকে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে। বিষয়টি তারা মেনে নিতে পারছে না। তাই দালাল তৈরি করছে। দু’ পয়সার ক্রিমিনালদের দিয়ে এসব কাজ করাচ্ছে। আজ থেকে আমি এলাকায় নাইট গার্ড হিসেবে থাকব। ডান্ডার দরকার নেই, পার্টির ঝান্ডা নিয়ে আমরা পাহারায় থাকব। আমি শুনেছি এলাকায় তোলাবাজি হচ্ছে, হুমকি দিচ্ছে। ভয় দেখিয়ে টাকা চাইছে। কেন টাকা দেবে মানুষ’? নেতার সংযোজন, কোনও গুন্ডাকে টাকা দেবেন না। কেউ টাকা চাইলে, আমার সঙ্গে যোগাযোগ করুন। আমি মোকাবিলা করব। আমি মৃত্যুকে ভয় পাই না। গুজরাট এবং উত্তরপ্রদেশের জোড়া হামলার মধ্যে এই বিধানসভার মানুষ আমাদের ৩৬ হাজার ভোটে জিতিয়েছে। কেন আমার এলাকার মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারবে না? আমি পাহারায় থাকব’।
এরপরই আরও একটু বিতর্ক বাড়িয়ে মদন মিত্র বলেন, “ভগবান যদি চান, তাহলে কামারহাটিকে ভাটপাড়া হতে দেবেন না। তিনি যদি চান তাহলে নিজের কাছে কাউকে নিমন্ত্রণ করে ডেকে নিতে পারেন”। তার এহেন মন্তব্যের পর মদন মিত্র যে নিজের ওপর আরও একটু বিতর্ক বাড়ালেন তা মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই।