নিজস্ব সংবাদদাতা: বিধানসভা নির্বাচনে জয়ের হাসি হেসেছে ঘাস-ফুল শিবির। লজ্জার হার হয়েছে পদ্ম শিবিরের। তবে মাথা নত করে বসার সময় নয় এটি। ঘুরে দাঁড়াতে হবে, লড়তে হবে পুরসভা নির্বাচনেও। তাই শাসক দলের ভুলভ্রান্তিই হবে বিজেপির এক্স-ফ্যাক্টর। ভেঙে পড়া দলকে এই ভাবেই উজ্জীবিত করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।
বিধানসভার অন্দরে এবং বাইরে শাসক দলের ভুলগুলি সাধারণ মানুষকে বোঝাতে পারলেই লাভ বিরোধীদলের। ঠিক যেমনটা সিঙ্গুর নন্দীগ্রাম জমি আন্দোলনের সময় করেছিলেন আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ভোট পরবর্তী হিংসার ইস্যু আগে থেকেই ছিল। বাড়তি হাতিয়ার হিসেবে এবার ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ড হাতে পেয়ে গিয়েছে বিজেপি। তার মধ্যে আবার বেনজির সংঘাতের আবহে শুরু হয়েছে রাজ্যের বিধানসভা অধিবেশন। কিন্তু নবনির্বাচিত বিজেপি বিধায়কেরা অনেকেই বিধানসভার ভেতরে লড়াইয়ে অভ্যস্ত নন। সেই কারণে শনিবার হেস্টিংসে বিশেষ কর্মশালায় বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী পরিষ্কার করে দিলেন, আসন্ন সময় এই ভুয়ো ভ্যাকসিন কাণ্ডই প্রধান অস্ত্র হতে চলেছে গেরুয়া শিবিরের।
হেস্টিংসের বিজেপির কার্যালয়ে ‘স্যারের’ ভূমিকায় ছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ এবং বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁদের দু’জনেরই একটা দীর্ঘ সময় কাটানোর অভিজ্ঞতা রয়েছে বিধানসভায়। এ দিনের বৈঠকে প্রথমে বিধায়কদের ‘ক্লাস’ নেন দিলীপবাবু।
তারপর নেন শুভেন্দু অধিকারী। আগামী সময় রাজনৈতিকভাবে ঠিক কোন ইস্যুতে শাসকদের নিশানায় নিতে হবে, সেটা স্পষ্ট করে দেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক।
তিনি বিধায়কদের জানান, ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে সুর সপ্তমে তুলতে হবে বিধায়কদের। তাঁর কথায়, “ভ্যাকসিন কাণ্ড নিয়ে এমন তীব্র আন্দোলন করতে হবে, যাতে শাসকদের কান ঝালাপালা হয়ে যায়”।
এদিন কার্যত এই ভাবেই শুভেন্দু অধিকারী বর্তমান দলের যোদ্ধাদের অনুশীলন দিলেন তার প্রাক্তন সহযোগীদের বিরুদ্ধে।