নিজস্ব সংবাদদাতা: ‘দল চালাতে গেলে টাকা লাগে সেই টাকা নেওয়া কাটমানি নয়’ এমনই বিতর্কিত মন্তব্য করে খবরের শিরোনামে এলেন গলসির গোহগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান রিঙ্কু ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস পরিচালিত পূর্ব বর্ধমানের গোহগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েত। বেশ কিছুদিন লকডাউন সহ নানা কারণে পঞ্চায়েতের টেন্ডার প্রক্রিয়া বন্ধ রয়েছে। ফলে রাস্তাঘাট, নর্দমা, পুকুরঘাট সংস্কার ও তৈরির কাজ ব্যহত হচ্ছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একাংশের মতে স্বচ্ছভাবে অনলাইনের মাধ্যমে টেন্ডার প্রক্রিয়া করা হোক তবে আরেকটি অংশ চাইছে যাতে অফলাইনেই টেন্ডার ডাকা হয়।
এই বিষয়ে মন্তব্য করতে গিয়েই গ্রাম প্রধান রিঙ্কু ঘোষ অবাক যুক্তি তৈরি করেন। তিনি বলেন, “আমাকে বিডিও পরামর্শ দিয়েছেন অফলাইনে টেন্ডার করা হলে কাজ তাড়াতাড়ি হবে”। একই সাথে তিনি বলেন, “দল চালাতে গেলে তো একটা খরচ আছে। তাই দল চালাতে টাকা লাগে। পার্টি ফান্ড আছে। পার্টি ফান্ডে অনেক কিছু দরকার হয়। আর এটাতো কাটমানি নয়, কাটমানি হচ্ছে কেউ কোন ঘর পেয়েছে সেখান থেকে যদি কুড়ি তিরিশ হাজার টাকা নেওয়া হয় সেই টাকা। তাই এটা কাটমানি নয়। এটা দল চালাতে গেলে লাগে কিন্তু কিভাবে সেটা নেওয়া হয় আমি জানিনা”।
পঞ্চায়েত প্রধানের এহেন মন্তব্যের পর হাতে যেন মোক্ষম অস্ত্র পেয়ে গেছে বিজেপি। তাই এখন তাতেই শান দিচ্ছেন তারা। বিজেপির বর্ধমানের প্রাক্তন জেলা সভাপতি সন্দীপ নন্দী বলেন, “আমরা নির্বাচনের আগে বিষয়টি নিয়ে বারবার সরব হয়েছিলাম। দেরিতে হলেও সেটা এখন বলছে খোদ শাসক দলের নেতা- নেত্রীরাই। বিজেপিযে মিথ্যে কোন অভিযোগ করেনি সেটা মানুষ বুঝতে পারছে”।
দলের কর্মীর মুখে এই ধরনের কথা শুনে চিন্তিত তৃণমূলের অন্দরও। এ বিষয়ে রাজ্যের পঞ্চায়েত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের কাছে জানতে চাওয়া হলে তিনি বলেন, “যারাই টাকা নেবে তাদেরকে উপযুক্ত শাস্তির মুখে পড়তে হবে। এটা জেলা নেতৃত্বরই দায়িত্ব। তবে আমার কাছে অভিযোগ এলে, তাহলেও আমি ব্যবস্থা নেব। কাটমানি কোনদিনই দলের দরকার হয় না আর দল নেয়ও না।’