নিজস্ব সংবাদদাতা: সম্প্রতি বিশেষ কোভিড বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে ১৬ জুলাই পর্যন্ত। শিথিল করা হয়েছে বেশ কিছু ক্ষেত্রে। পথে নামতে বলা হয়েছে সরকারি-বেসরকারি বাসগুলিকে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলনে সেই কথা ঘোষণা করেছেন গত ২৮ জুলাই।
সেই ঘোষণার পরেও কিন্তু বাস্তব চিত্র কিছুই বদলালো না। ঘোষণা মতো আজ থেকে রাজ্যে সরকারি ও বেসরকারি বাস পরিষেবা চালু হওয়ার কথা। কিন্তু হাওড়া বাস টার্মিনালে প্রায় নেই বললেই চলে সরকারি ও বেসরকারি বাস। আর তার জেরে ভোগান্তি অফিস যাত্রীদের।
সরকারি বাস চলে তার নির্দিষ্ট রুটে। তাই যেখানে সরকারি বাস যায় না সেখানে বেসরকারি বাসই ছিল ভরসা। কিন্তু হাতে গোনা কয়েকটি বেসরকারি বাস রাস্তায় নামলেও সংখ্যাগরিষ্ঠ বাস এখনও নামায়নি বেসরকারি বাসের মালিকেরা। তার প্রভাব দেখা গেল হাওড়া বাস টার্মিনালে। ফলে নিজের গন্তব্যে পৌঁছতে সরকারি বাসে কোভিড বিধিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে চলছে ঠাসাঠাসি ভিড়। অনেকে নিজের গন্তব্যে পৌঁছাতে ব্রেক জার্নি করছেন বলেই সূত্রের খবর। কারণ হাওড়া বাস টার্মিনাল থেকে সব রুটে সরকারি বাস যায় না। তাই নিজের গন্তব্যস্থলের কয়েক কিলোমিটার আগে নেমে আবার অন্য কোনো মাধ্যমে নিজের গন্তব্যস্থলে যাচ্ছেন নিত্যযাত্রীরা।
রাজ্যে কোভিড বিধি চালু থাকায় সর্বোচ্চ ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়ে বাস চালানোর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু বাস্তবে ভিড়ের চাপে শিকেয় উঠেছে সেই কোভিড বিধি। প্রসঙ্গত, রাজ্যে ১৬ জুলাই পর্যন্ত বিশেষ কোভিড বিধিনিষেধ বজায় থাকলেও তাতে বেশ কিছু ছাড় দেওয়া হয়েছে। সরকারি ও বেসরকারি অফিস খোলার কথাও ঘোষণা করা হয়েছে। আর অফিসে যাতায়াতের জন্য সরকারি ও বেসরকারি বাস চালু করার কথা জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। লোকাল ট্রেন পরিষেবা চালু করার বিষয়ে রাজ্য সরকারকে ইতিমধ্যে চিঠি পাঠানো হয়েছে রেলের তরফ থেকে। যদিও লোকাল ট্রেন পরিষেবা বন্ধই থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। অন্যদিকে, বেসরকারি বাস মালিকেরা জানিয়েছেন বাসের ভাড়া বৃদ্ধি না হলে তারা বাস নামবেন না রাস্তায়। যার জেরে এখনও কার্যত বন্ধই রয়েছে বেসরকারি বাস। সরকারি বাস চালু হলেও তা এতটাই সংখ্যায় কম যে সেই বাসে চড়ে সঠিক সময়ে অফিসে হাজিরা দিয়ে চাকরি বাঁচানোটাই দুঃস্বপ্নের মতো লাগছে আমজনতার কাছে। তাই নিজের চাকরি বাঁচাতে অনেকেই হয় পায়ে হেঁটে নতুবা সাইকেলে চড়েই যাতায়াত করছেন।
সাধারণ যাত্রীদের দাবি, রাজ্য সরকার সম্পূর্ণভাবে লকডাউন করে দিক; তা না হলে সব কিছু খুলে দিক। গণ পরিবহন ব্যবস্থার অভাবে যথেষ্ট নাজেহাল হয়ে পড়ছেন তারা। এই পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্ত কি হয় এখন সেটাই দেখার।