নিজস্ব সংবাদদাতা: পূর্ব নির্ধারিত ঘোষণা অনুযায়ীই বৃহস্পতিবার থেকে আরও খানিকটা শিথিল হয়ে গেল এরাজ্যের কোভিড কেন্দ্রীক বিধিনিষেধ। মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী, আজ থেকেই ফের চাকা ঘুরতে শুরু করেছে সরকারি ও বেসরকারি বাসগুলির। তবে তাতেও রয়েছে বিধিনিষেধ। ৫০ শতাংশ যাত্রী নিয়েই যাত্রা করতে হবে বাসগুলিকে। আর সেই নিষেধ মানতে রাজি নন বাস সংগঠনের মালিকরা। তাদের দাবি কম সংখ্যক যাত্রী নিতে গেলে বাড়াতে হবে ভাড়া। এরকমই টানাপোড়েন পরিস্থিতিতে আরও একটু ‘ঘি’ ছড়িয়ে দিলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি দিলীপ ঘোষ।
বৃহস্পতিবার সকালে বাস চলাচল নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, ৫০ হাজার বাসের দরকার রয়েছে এই মুহুর্তে। তাঁর কথায়, “ট্রেন যদি না চলে তাহলে গ্রাম থেকে কলকাতার বাইরের লোক আসতে পারবে না। তাতে শহরে আসার একমাত্র মাধ্যম পড়ে রইল বাস। এবং তাতে যে ভিড় হবে তা নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। আর তার মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় খুলে গিয়েছে অফিস। তাহলে অফিস যাত্রীরায় বা কিভাবে যাতায়াত করবে”।
“অন্যদিকে, বাসের ভাড়া বাড়ানো নিয়ে সমস্যা তৈরি হয়েছে। ফলে পড়ে থেকে থেকে ক্ষতি হচ্ছে বাসগুলির। তাই যাত্রীদের বেশি ভাড়া দিতে হবে। তবে যদি ট্রেন চলতে শুরু করে তাহলে সমস্যা কিছুটা কমবে। ট্রেনটা আগে চলা উচিত। তাহলে সবকিছু সমাধান হয়ে যাবে। আর এই সব না করে বন্ধ করে রাখা হয়েছে ট্রেনকেই।
এদিন পঞ্চাশ শতাংশ বিষয়টি নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন দিলীপ ঘোষ। তিনি বলেন, “কে শতাংশ ঠিক করবে। জোর করে লোক বাসে উঠে ঢুকে যাচ্ছেন। ঝুলে ঝুলে বাসে যাচ্ছেন। বাস ট্রেন সেভাবে চললে সব স্বাভাবিক হয়ে যাবে। গতবছর ট্রেনও চলেছিল স্বাভাবিক ভাবে। কিন্তু সেইজন্য সংক্রমন বাড়েনি”।
করোনা প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর এবছর এরাজ্যে পুনরায় বেড়েছে করোনা পরিস্থিতি। তার কারণ খোঁজা উচিত নেত্রীর; এমনটায় মনে করছেন দিলীপ ঘোষ। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায়, এবছর করোনার প্রকোপ বাড়ার মূলে রয়েছে বিধানসভা নির্বাচন। যাতে অংশ নিয়েছিলেন সমস্ত রাজনীতি দলের নেতানেত্রীরায়। তাহলে কি নিজেদের দায়টা এড়িয়ে যেতে চাইলেন রাজ্য বিজেপির সভাপতি, প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।