মহামারী বিশেষজ্ঞ শাহিদ জামিল ভ্যারিয়েন্ট চিহ্নিতকরণের জন্য গঠিত কেন্দ্রের বিজ্ঞানী প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। রয়টার্স জানায় গত শুক্রবার জামিল কেন্দ্রীয় প্যানেল থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। কোভিড ব্যবস্থাপনায় কেন্দ্রীয় সরকারের নীতি নির্ধারণ পদ্ধতি কে কাঠগড়ায় দাঁড় করানো এই মহামারী বিশেষজ্ঞ নিউইয়র্ক টাইমসে একটি উত্তর সম্পাদকীয় কলাম লেখেন। জামিল সেখানে নরেন্দ্র মোদি সরকারের সমালোচনা করেন। দ্বিতীয় ঢেউ মোকাবিলার প্রশ্নে কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা কে চিহ্নিত করেন জামিল। এক অপর্যাপ্ত টেস্টিং দ্বিতীয়তঃ শ্লথ টিকা করন এবং তিন স্বাস্থ্যকর্মীদের সংকট। শাহিদ জামিল বলেন, বিজ্ঞানীরা সহযোগিতা করলেও ভারত সরকার প্রমাণ ভিত্তিক নীতি নির্ধারণ করছে না। এপ্রিল মাসের শেষে 800 বিজ্ঞানী প্রধানমন্ত্রীকে আবেদন করেছিলেন তাদের আরও বিস্তারিত তথ্য লাগবে সংক্রমনের রেখাচিত্র গতিপ্রকৃতি বুঝতে। কিন্তু নয়াদিল্লি গা করেনি। রয়টার্স জানায় জামিল বলেছেন কেন্দ্রীয় সরকারকে মার্চ মাস থেকে বিজ্ঞানীরা সতর্ক করেছেন। বলা হয়েছিল দ্বিতীয় ঢেউ সাংঘাতিক আকার নেবে। প্রচুর মানুষের প্রাণ যাবে। সেটা রুখতে গেলে দ্রুত পরিকল্পনাও নীতিনির্ধারণ প্রয়োজন। কিন্তু কে শোনে কার কথা। এই বিপুল জনঘনত্বের দেশে মাত্র সাড়ে 14 কোটি মানুষ টিকা পেয়েছেন। কেন্দ্রীয় সরকারের পরিকল্পনা থাকলে সংখ্যাটা এরকম হতো না। কোভিড মোকাবিলায় ভারতের কেন্দ্র যে বেসামাল হয়ে পড়েছে আন্তর্জাতিক স্তরে ও সমালোচনার ঝড় উঠেছে। WHO স্পষ্ট জানিয়েছে দ্বিতীয় ঢেউয়ের কারণ এই মারাত্মক অবস্থার জন্য দায়ী শুধু ধর্মীয় এবং রাজনৈতিক জমায়েত।