গতকাল চতুর্থ দফার ভোটগ্রহণে একটা অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা ঘটেছে। একটা বুথে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিরা হামলা করে। সিএপিএফ এর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। সিএপিএফ আত্মরক্ষায় অস্ত্র রক্ষা করতে গুলি চালায় তখন চারজনের মৃত্যু হয়েছে। এ অত্যন্ত বেদনাদায়ক ঘটনা। এই কথা বললেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এদিন শান্তিপুরে বিজেপি প্রার্থী জগন্নাথ সরকারের সমর্থনে প্রচারে এসে তিনি এ কথা বলেন। অমিত শাহ বলেন, যেভাবেই ঘটনার রাজনীতিকরণ হচ্ছে সেটা দুঃখজনক। মমতা দিদির বিবৃতি দেখেছি। ওই বুথে সকালে আনন্দ বর্মনকে হত্যা করা হয়েছিল। ভোটগ্রহণ বন্ধ করতেই গুন্ডারা খুন করেছিল। সেই বুথেই সিআইএসএফ এর অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা হয়েছে। মমতা দিদি চারজনকে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন। আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতে ওনার কিছু যায় আসেনা। মৃত্যুতেও তোষণের রাজনীতি করে বুঝিয়ে দিলেন বাংলার রাজনীতিকে কত নিচে নামিয়েছেন মমতা দিদি। মমতার আচরণ বাংলার সংস্কৃতি বিরোধী। আনন্দ বর্মনের মৃত্যুতে আমরা দুঃখ প্রকাশ করেছি। বাকি দের মৃত্যুতে আমরা দুঃখিত। মৃত্যু সব সময় রাজনীতির উর্ধ্বে থাকা উচিত। উনি আনন্দ বর্মনের মৃত্যু নিয়ে কিছু বলেন নি। কারণ আনন্দ বর্মন রাজবংশী সম্প্রদায়ের সদস্য। এই ধরনের রাজনীতি বাংলার সংস্কৃতির পরিপন্থী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এই ঘটনা নিয়ে রাজনীতি করার অভিযোগে সরব হন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেন, একটি ঘটনা ছাড়া বাংলায় শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হচ্ছে। সমস্ত রাজনৈতিক দলের কাছে তার অনুরোধ কমিশনের বিধিনিষেধ মেনে চলুন। অমিত শাহ আরও বলেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীতলকুচি তে কয়েকদিন আগে বলেছিলেন কেন্দ্রীয় বাহিনী এলে ঘেরাও করো। তাদের ওপর হামলা করো। আমি প্রশ্ন করছি আপনার সেই ভাষণ কি এই চারজনের মৃত্যুর জন্য দায়ী নয়। আপনি যদি এইসব কথা না বলতেন ওই চার যুবক সিআরপিএফ এর উপর আক্রমণ করার সাহস পেতেন কি। তাদের প্ররোচনা দিয়ে গুলি চালানোর পরিস্থিতি তৈরি করেছেন। আমার মনে হয় এখনো সময় রয়েছে উনি আনন্দ বর্মন এর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করুন এবং যে ভাষণ দিয়েছেন সেজন্য বাংলার মানুষের কাছে ক্ষমা চান। শীতলকুচি তে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে চার যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বক্তব্যকে কাঠগড়ায় তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ।