নন্দীগ্রামের একাধিক বুথে তাদের এজেন্ট দের বসাতে পারছে না বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ ছিল। বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল। এরপরে রেয়াপাড়ার বাড়ি থেকে নন্দীগ্রামের তৃণমূল প্রার্থী ও মুখ‍্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বয়াল প্রাথমিক স্কুলের বুথে যান। সেখানে তাকে দেখেই এলাকায় পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেন তার কাছে 63 অভিযোগ জমা পড়েছে ভোট দিতে না পারা নিয়ে। বয়ালের বেশকিছু বুথে বিজেপির বিরুদ্ধে ভোটদানে বাধা দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হাজির হতেই বিজেপি কর্মীরা জয় শ্রীরাম স্লোগান দিতে শুরু করেন। তখন পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। গোটা এলাকায় তুমুল উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অভিযোগ করেন নন্দীগ্রামে বহিরাগতরা ঢুকেছে। সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারছেন না। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। তিনি প্রাথমিক স্কুলের বুথে বসেই রাজ্যপাল কে ফোন করেন। তাঁকে পুরো পরিস্থিতি জানান। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর নির্দেশে এরকম হচ্ছে। কেন্দ্রীয় বাহিনী বিজেপির হয়ে কাজ করছে। দুপুরের মধ্যে 80% ছাপ্পা ভোট হয়েছে। এই অভিযোগ করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি এই বিষয় নিয়ে আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। বয়ালের 7 নম্বর বুথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কে বসে থাকতে দেখে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয়। তিনি প্রার্থী হয়ে কিভাবে বুথের ভেতর রয়েছেন। বিজেপির অভিযোগ বাইরে থেকে লোক এনে গন্ডগোল করা হচ্ছে। নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জিতবেন। নন্দীগ্রামের মানুষ মমতাকে জেতাবেন বলেছেন ডেরেক ও’ব্রায়েন। এর আগে পঞ্চায়েত সহ একাধিক নির্বাচনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিরোধী রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে বুথে এজেন্ট দের বসতে না দেওয়া ভয় দেখানোর অভিযোগ করা হতো। আর এইবার নন্দীগ্রামের একাধিক বুথে তৃণমূল এজেন্ট দিতে পারেনি। এই কথা বিজেপি প্রার্থী শুভেন্দু অধিকারীও বলেছেন।